ট্রাম্পের জন্মদিনে সামরিক কুচকাওয়াজ: ফুঁসছে জনতা, কী ঘটতে যাচ্ছে?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৭৯তম জন্মদিনে ওয়াশিংটন ডিসিতে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে। একই দিনে তার নীতির প্রতিবাদে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের প্রস্তুতি চলছে।

‘নো কিংস’ আন্দোলনের ব্যানারে এই প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলো সংগঠিত হচ্ছে, যেখানে ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

খবর অনুযায়ী, শনিবার এই কুচকাওয়াজ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। শুধু ওয়াশিংটন ডিসিতে নয়, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা অভিবাসন নীতি এবং গণতন্ত্রের সামরিকীকরণের মতো বিষয়গুলোর প্রতিবাদে সোচ্চার হতে পারেন। বিক্ষোভের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।

লস এঞ্জেলেসে অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিনদের মোতায়েন করা হয়েছিল, যা এরই মধ্যে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এর মাধ্যমে তাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

নিউ ইয়র্ক, সিয়াটল, শিকাগো, অস্টিন, লাস ভেগাস এবং ওয়াশিংটন ডিসির মতো শহরগুলোতেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, এই সামরিক কুচকাওয়াজের পেছনে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বেশি) খরচ হতে পারে। বিক্ষোভকারীরা এই কুচকাওয়াজের দিকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে চাইছে এবং ফিলাডেলফিয়ায় একটি বড় সমাবেশের আয়োজন করেছে।

ক্যালিফোর্নিয়াসহ বিভিন্ন রাজ্যে ছোট-বড় অনেকগুলো প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বিক্ষোভ আয়োজকরা বলছেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য কোনো ধরনের সহিংসতা নয়। তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চান—যুক্তরাষ্ট্রে ‘আমরা রাজা মানি না’। বিক্ষোভের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিক্ষোভের কারণে অনেক শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাউথ ক্যারোলিনার অ্যাটর্নি জেনারেল সতর্ক করেছেন, যারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, শিকাগোর মেয়র শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি বড় ধরনের জনমত প্রদর্শনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *