**মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য উত্তেজনার মাঝে ভোক্তাদের মনে স্বস্তি, খাদ্যপণ্যের দামে উদ্বেগ অব্যাহত**
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। মে মাসে দেশটির মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইতিবাচক ধারণা বেড়েছে, যার মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধের কিছুটা প্রশমনকে।
ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্কের সাম্প্রতিক এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপ অনুযায়ী, ভোক্তাদের প্রত্যাশিত মূল্যস্ফীতি কমেছে।
আগামী এক বছরের জন্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩.২ শতাংশে। এর আগে, নভেম্বরে এমনটা দেখা গিয়েছিল, যখন মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম ছিল।
এই পরিস্থিতিতে, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল।
বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা এবং এর ফলস্বরূপ বাজারে অস্থিরতা ভোক্তাদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছিল।
তবে, মে মাসের জরিপে দেখা যাচ্ছে, ভোক্তারা এখন তাদের চাকরি নিয়ে আগের চেয়ে কম উদ্বিগ্ন।
কর্মসংস্থান পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বেকারত্বের হার বাড়ার সম্ভাবনাও কমেছে।
জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তারা যদি চাকরি হারান, তবে নতুন চাকরি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কেও আগের চেয়ে বেশি আশাবাদী।
এছাড়াও, পরিবারের আয় সামান্য বাড়তে পারে বলেও তারা মনে করছেন।
তবে, একটি বিষয় এখনও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তা হলো খাদ্যপণ্যের দাম। খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রত্যাশা বেড়েছে, যা অক্টোবর ২০২৩-এর পর সর্বোচ্চ।
এই মুহূর্তে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির এই পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কারণ, বিশ্ব অর্থনীতির এই ধরনের পরিবর্তনে বাংলাদেশের অর্থনীতিও প্রভাবিত হতে পারে।
বাণিজ্য, মূল্যস্ফীতি এবং কর্মসংস্থান—এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি কমে, তাহলে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল হতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতির একটি অংশ, এবং এর প্রভাব বিভিন্ন দেশের মানুষের জীবনযাত্রার উপর পড়তে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন