আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, যেখানে ২৯০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার, ১২ই জুন, আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট এআই-১৭১ লণ্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় একজন ব্রিটিশ নাগরিক, যিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত, কোনোমতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
দুর্ঘটনায় জীবিত ব্যক্তিটি হলেন ৪০ বছর বয়সী বিশ্বাশ কুমার রমেশ। তিনি বর্তমানে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে তিনি সংবাদ সংস্থা ডিডি নিউজকে জানান, কিভাবে তিনি বেঁচে ফিরলেন তা তিনি নিজেও জানেন না। চোখের সামনে অন্যদের মরতে দেখেছেন তিনি।
বিমানের কেবিন ক্রু এবং তার কাছাকাছি থাকা আরও দু’জনকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছেন।
বিশ্বাশের ভাষ্যমতে, বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝাঁকুনি শুরু হয়। এরপর বিমানের আলো সবুজ এবং সাদা রঙে কাঁপতে থাকে।
এর পরেই বিমানটি একটি ভবনে গিয়ে আছড়ে পরে। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিটি জানান, তিনি বিমানের যে অংশে ছিলেন, সেটি সম্ভবত ভবনটিতে সরাসরি আঘাত করেনি, যে কারণে তিনি বের হতে পেরেছিলেন।
তিনি আরও জানান, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে এবং আগুনে তার বাঁ হাত ঝলসে গেছে।
জানা গেছে, বিশ্বাশ তার ভাই অজয় কুমার রমেশের সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন এবং দুর্ঘটনাকালে তারা দুজনেই যুক্তরাজ্যে ফিরছিলেন।
তবে এই দুর্ঘটনায় অজয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বাশের ছোট ভাই, নয়ন জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তার ভাই তাকে ফোন করে জানান, তিনি কিভাবে বাঁচলেন, তা তিনি নিজেও জানেন না।
তিনি অজয়কে খুঁজে বের করার জন্য তাদের সাহায্য চান।
এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু ছিলেন। এদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডার নাগরিক ছিলেন।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে এবং এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত।
তথ্য সূত্র: পিপল