নিজের মেয়ের ‘অপহরণের’ গল্প ফাঁদলেন মা! ভয়ঙ্কর পরিণতি!

যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যে এক হৃদয়বিদারক ঘটনায়, তিন বছর বয়সী শিশুকন্যার মৃত্যুতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন মা। প্রথমে তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। পরে পুলিশের তদন্তে জানা যায়, মায়ের দেওয়া এই বিবরণ মিথ্যা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ৩১ বছর বয়সী ডারিয়ান র‍্যান্ডল নামের ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম ও দ্বিতীয়-ডিগ্রি হত্যা, ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু ঘটানো ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা গেছে, গত ১০ই জুন তারিখে ডারিয়ান পুলিশকে জানান, তিনি যখন তাঁর মেয়েকে নিয়ে গাড়িতে ছিলেন, তখন কয়েকজন লোক এসে তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এরপর, দ্রুত ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ এবং শিশুটির খোঁজে “অ্যাম্বার অ্যালার্ট” জারি করা হয়। অ্যাম্বার অ্যালার্ট হলো শিশুদের অপহরণ বা গুরুতর আহত হওয়ার ঝুঁকিতে তাৎক্ষণিকভাবে জনসাধারণের সহায়তা চেয়ে জারি করা একটি সতর্কবার্তা, যা আমেরিকাতে ব্যবহৃত হয়।

তবে, তদন্তে ডারিয়ানের বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপর পুলিশ র‍্যান্ডলের প্রেমিক, ৪৪ বছর বয়সী সেড্রিক অ্যান্টনি ব্রিতেনকে গ্রেপ্তার করে। ব্রিতেনের বিরুদ্ধে হত্যার পর তথ্য গোপন করা ও শিশু মৃত্যুর খবর না জানানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের নর্থ ইস্ট এলাকায় র‍্যান্ডলের শেষ পরিচিত ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ কিছু মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার করে, যা সম্ভবত শিশুটির হতে পারে। যদিও, সেগুলো এখনো শনাক্ত করা যায়নি এবং পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

বর্তমানে, ডারিয়ান র‍্যান্ডলকে নিউ ক্যাসেল কাউন্টি ডিভিশন অব পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং তিনি সম্ভবত ডেলাওয়ারে বিচারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। ব্রিতেনকে মেরিল্যান্ডে আটক করা হয়েছে এবং দ্রুতই তাকে সিসিল কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হাজির করা হবে।

র‍্যান্ডলের জামিনের জন্য ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে।

মার্কিন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৩শে জুন তারিখে র‍্যান্ডলের প্রাথমিক শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *