যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নির্বাহী আদেশের কিছু অংশ বাতিল করেছেন দেশটির একজন ফেডারেল বিচারক। এই আদেশে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে কাগজপত্র জমা দেওয়ার নিয়ম এবং নির্বাচনের দিন পেরিয়ে গেলেও কিছু ক্ষেত্রে পাঠানো ব্যালট গণনা করার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।
গত শুক্রবার, ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল বিচারক ডেনিস ক্যাসপার এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশ দেন। বিচারক ক্যাসপার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। আদালতের এই রায়ে বলা হয়েছে, এখন থেকে ভোটারদের নিবন্ধনের সময় নাগরিকত্বের লিখিত প্রমাণ দেখাতে হবে না।
এছাড়া, নির্বাচনের পরে আসা ডাকযোগে পাঠানো ব্যালটগুলো (mail-in ballots) গণনা করার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তাও বাতিল করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র সেই রাজ্যগুলোর জন্য প্রযোজ্য, যারা এই মামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।
আদালতের মতে, এই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হলে রাজ্য সরকারগুলোর ওপর ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া নতুন করে সাজানোর জন্য অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হতো এবং এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হতো। এর ফলে অনেক যোগ্য ভোটার, বিশেষ করে যাদের কাছে নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যেমন পাসপোর্ট) নেই, তাদের নিবন্ধন করতে সমস্যা হতো।
যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে, যারা দেশটির নাগরিক নন, তাদের তো ভোট দেওয়ার অধিকার নেই-ই। কিন্তু এই নতুন আদেশের বিরোধীরা বলছেন, এতে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার কারণে অনেক যোগ্য ভোটার নিবন্ধন করতে নিরুৎসাহিত হতেন।
ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাডা, ম্যাসাচুসেটস, অ্যারিজোনা, কলোরাডো, কানেকটিকাট, ডেলাওয়্যার, হাওয়াই, ইলিনয়, মেইন, মেরিল্যান্ড, মিশিগান, মিনেসোটা, নিউ জার্সি, নিউ মেক্সিকো, নিউ ইয়র্ক, রোড আইল্যান্ড, ভার্মন্ট এবং উইসকনসিন সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ওয়াশিংটন ডিসির একজন ফেডারেল বিচারকও এর আগে ভোটারদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দাখিলের বিষয়টির বিপক্ষে রায় দিয়েছিলেন।
এই খবরটি এখনো প্রকাশিত হচ্ছে এবং এতে আরও তথ্য যুক্ত করা হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন