যুক্তরাষ্ট্রে জুন মাসে ভোক্তা আস্থা সূচক কিছুটা বেড়েছে, যা গত ছয় মাসের মধ্যে প্রথম। দেশটির অর্থনীতি নিয়ে আমেরিকানদের মনে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হওয়ায় এই পরিবর্তন হয়েছে।
শুক্রবার প্রকাশিত মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোক্তা আস্থা সূচকের প্রাথমিক রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসে ভোক্তা আস্থা সূচক ১৬ শতাংশ বেড়ে ৬০.৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। যদিও গত ডিসেম্বরের তুলনায় এখনো এই সূচক ২০ শতাংশ কম।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতিতে অস্থিরতা এবং চীনের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধের কারণে ভোক্তাদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সম্প্রতি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে একটি সাময়িক চুক্তি হওয়ায় জনগণের মধ্যে আস্থা বেড়েছে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপের পরিচালক জোয়ানে হসু এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এপ্রিল মাসে উচ্চ শুল্ক ঘোষণার পর ভোক্তারা কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিলেন। এরপর নীতিগত কিছু পরিবর্তন আসায় তারা স্থিতিশীল হয়েছেন।
তবে এখনো তারা অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে ঝুঁকি দেখছেন।”
ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের আমলে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি দেশের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করে, যার মধ্যে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আরও অনেক দেশ ছিল।
তবে এপ্রিল মাসে ট্রাম্প প্রায় ৬০টি দেশের ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন এবং গত মাসে চীনের সঙ্গে একটি সাময়িক বাণিজ্য চুক্তি করেন।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এখনো ঐতিহাসিক গড় থেকে অনেক বেশি, তবে এর ফলে এখনো পর্যন্ত দেশটির মূল্যস্ফীতিতে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির এই পরিবর্তন বিশ্ব অর্থনীতি, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির উত্থান-পতন আমদানি-রপ্তানি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।
উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে এর একটি প্রভাব থাকতে পারে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস