বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকির একদিন পরেই জরুরি অবতরণ করতে হলো। এই ঘটনার আগের দিনই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান দুর্ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৩ই জুন, শুক্রবার, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান, যার ফ্লাইট নম্বর ছিল এআই৩৭৯, থাইল্যান্ডের ফুকেট থেকে ভারতের নতুন দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু মাঝ আকাশেই বোমা হামলার হুমকির কারণে বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করতে হয়।
ফুকেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানানো হয়। ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী, বিমানের বাথরুমে বোমা হামলার হুমকি সংবলিত একটি চিরকুট পাওয়া যায়।
এর পরেই পাইলটকে বিমানটি ফুকেট বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। বিমানটিতে ১৫৬ জন যাত্রী এবং আট জন ক্রু সদস্য ছিলেন।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক বা সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি।
ফুকেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মনচাই তানোদে জানান, “বিমানের বাথরুমে বোমা হামলার হুমকি লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গিয়েছিল। এরপর পাইলট কন্ট্রোল টাওয়ারকে বিষয়টি জানান এবং জ্বালানি কমানোর জন্য আকাশে কিছুক্ষণ ঘোরার পর ফুকেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেন।”
এই ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে। প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে চিহ্নিত করা হলেও, পরে তাদের সন্দেহের বাইরে রাখা হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানা যায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪ থেকে জানা গেছে, বিমানটি স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ফুকেট থেকে উড্ডয়ন করে এবং পরে বিকাল ৪টা ২৮ মিনিটে নতুন দিল্লির উদ্দেশ্যে পুনরায় যাত্রা শুরু করে।
এই ঘটনার একদিন আগে, অর্থাৎ ১২ই জুন, বৃহস্পতিবার, এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ ফ্লাইটটি ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয়।
বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া, বিমানের ২৩২ জন যাত্রী ও ক্রু-সদস্যের মধ্যে একজন, ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ভারতীয় নাগরিক, প্রাণে বেঁচে যান।
আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিমান সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডার নাগরিক ছিলেন।
তথ্য সূত্র: পিপল
