প্রিন্সেস অফ ওয়েলস কেট মিডলটন শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাঁর ফাউন্ডেশন, ‘দ্য রয়্যাল ফাউন্ডেশন সেন্টার ফর আর্লি চাইল্ডহুড’-এর তত্ত্বাবধানে লন্ডনের অনগ্রসর এলাকাগুলোতে শিশুদের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে।
এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের এবং তাদের পরিবারকে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করা। ‘হ্যাপি লিটল মাইন্ডস’ নামের এই প্রকল্পের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে বারনার্ডোস এবং প্লেস টু বি-এর মতো দুটি খ্যাতনামা দাতব্য সংস্থা।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশে শৈশবের গুরুত্ব অপরিহার্য—এই বিষয়টি তুলে ধরতেই প্রিন্সেস কেটের এই উদ্যোগ। প্রকল্পের আওতায় টাওয়ার হ্যামলেটস এবং হ্যাকনির দুটি প্রাক-বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫০ জন শিশু ও তাদের পরিবারকে সহায়তা করা হবে।
বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কর্মীরা শিশুদের সামাজিক এবং মানসিক বিকাশে সহায়তা করতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ দেবেন। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মীদের এই প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ছোট্ট শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে, তাদের ভালো ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছেন প্রিন্সেস কেট। বিশেষজ্ঞদের মতে, শৈশবে শিশুদের মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশে সহায়তা করলে, তারা ভবিষ্যতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যায় কম ভুগবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যা তাদের জীবনযাত্রায় দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এই প্রকল্পের ধারণাটি প্রথম আসে ২০২৩ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ‘শেপিং আস ন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম’-এ। সেখানে বারনার্ডোসের একজন বিশেষজ্ঞ এবং প্লেস টু বি-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথরিন রচে-এর মধ্যে আলোচনা হয়।
এরপর তাঁরা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ফাউন্ডেশনের কাছে আর্থিক সহায়তা চান।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে কর্মীদের ‘দ্য সেন্টার ফর আর্লি চাইল্ডহুড’-এর ‘শেপিং আস ফ্রেমওয়ার্ক’ প্রদান করা হবে। এই কাঠামোটি সমাজে সামাজিক এবং মানসিক দক্ষতার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানাতে সহায়তা করবে।
এছাড়াও, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে এবং তাদের জন্য উপযুক্ত সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রেও নজর দেওয়া হবে।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের পাশাপাশি, প্রিন্সেস কেট ব্যবসায়িক জগতে এই বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতেও কাজ করছেন। বিভিন্ন নামকরা কোম্পানি, যেমন—ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংক, আইকিয়া এবং কো-অপারেটিভ-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের কর্মীদের জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি এবং শিশুদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করেছে।
তথ্য সূত্র: পিপল।