স্বামীকে হারানোর শোকে কাতর স্ত্রী: ‘ফোনে কথা বলার মাঝেই…’,

টেক্সাসের সান আন্তোনিও শহরে আকস্মিক বন্যায় ভেসে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক কাহিনি শোনা যাচ্ছে। স্টিভি নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে কথা বলার কিছুক্ষণ পরেই প্রবল বন্যায় ভেসে যান। স্ত্রী অ্যাঞ্জেল রিচার্ডস এখন তার স্বামীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন।

গত বৃহস্পতিবার, ১২ই জুন, ভারী বৃষ্টির কারণে শহরটিতে বন্যা দেখা দেয়। অ্যাঞ্জেল জানিয়েছেন, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে তার স্বামীর ফোন এসেছিল। ফোনের কথোপকথন চলাকালীন সময়েই তিনি “প্রবল জলস্রোতের” আওয়াজ শুনতে পান এবং এর পরেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি বলেন, “আমি যেন বিশ্বাস করতে পারছি না, এমনটা ঘটবে!”

বৃষ্টির মধ্যে কাজে যেতে দ্বিধা বোধ করছিলেন স্টিভি। অ্যাঞ্জেল জানিয়েছেন, তারা ১৫ বছর ধরে বিবাহিত ছিলেন। পরে তার স্বামীর গাড়ি – একটি ক্যাডিলাক – পেরিইন বেইটেলের কাছে ব্রিয়ার গ্লেন ট্রেইলহেডের কাছে উল্টে যাওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। অ্যাঞ্জেল জানান, “আমি যখন ফোনে ছিলাম, তখনই এই ঘটনা ঘটে। এরপর আমার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। নিজের চোখে যখন গাড়িকে এভাবে দেখি, তখন আমার কাছে এটা অসহ্য হয়ে ওঠে।”

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই বন্যায় অন্তত ৫ জন মারা গেছেন এবং ২ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। জরুরি বিভাগ ভোর ৪:১৫ নাগাদ ফোন কল পাওয়া শুরু করে, যেখানে জানা যায়, লুপ ৪১০ এবং পেরিইন বেইটেল রোডের কাছে অনেকে আটকা পড়েছেন।

ফায়ার ডিপার্টমেন্ট নিশ্চিত করেছে যে বন্যায় ১৫টি গাড়ি ভেসে গেছে। এতে ২ জন পুরুষ ও ৩ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, আরও ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আবহাওয়া দপ্তর জানায়, ১১ই জুন রাতে শহরের উত্তরে ৫ থেকে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (NWS) বন্যার সতর্কবার্তা জারি করেছিল। ফায়ার ডিপার্টমেন্টও ফেসবুকে সতর্ক করে জানিয়েছিল যে রাস্তাগুলোতে জল থাকার কারণে অনেক এলাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমরা বন্যার ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত আছি, যা বর্ষাকালে আমাদের দেশে একটি পরিচিত চিত্র।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *