স্বামীর সহকর্মীর বার্তা: ‘সে আমার দিনটা সুন্দর করে তোলে’!

বিবাহিত জীবনে অনেক সময় সামান্য বিষয়ও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি, তেমনই একটি ঘটনার জন্ম হয়েছে, যেখানে এক নারীর স্বামী কর্মক্ষেত্রে তাঁর এক সহকর্মীর কাছ থেকে পাওয়া একটি বার্তায় বেশ অস্বস্তি বোধ করছেন।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্ত্রী তাঁর স্বামী ও সহকর্মীর মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

জানা যায়, ওই নারী তাঁর স্বামীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাচ্ছিলেন, তখনই স্বামীর মোবাইলে একটি বার্তা আসে। বার্তাটি ছিল তাঁর এক নারী সহকর্মীর তরফ থেকে।

বার্তায় ওই নারী সহকর্মী তাঁর স্বামীর সঙ্গে কাজ করতে কতটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এবং তিনি অফিসে থাকলে তাঁর কেমন লাগে, সে কথা জানান। এমনকি, সহকর্মী তাঁদের মধ্যেকার আলাপচারিতা এবং স্বামীর প্রতি তাঁর ভালো লাগার কথাও উল্লেখ করেন।

স্ত্রীর ভাষ্যমতে, স্বামীর সহকর্মী তাঁর সঙ্গে গত দুই বছর ধরে কাজ করছেন এবং সম্প্রতি তাঁরা একটি উপস্থাপনা শেষ করেছেন। স্বামীর কাছে ওই বার্তা আসার পর তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে, স্বামী বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে কিছুটা অস্বস্তি প্রকাশ করেন।

ওই নারী মনে করেন, তাঁর স্বামীর কোনো পুরুষ সহকর্মী এমন বার্তা পাঠাতেন না। তাঁর এই ধারণা কতটা সঠিক, তা নিয়ে তিনি সন্দিহান। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, খুব শীঘ্রই ওই নারীকে তাঁর স্বামীর সহকর্মীর সঙ্গে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে মিলিত হতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে তিনি বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।

বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। অনেকে স্ত্রীর উদ্বেগকে সমর্থন করে সহকর্মীর এমন বার্তা পাঠানো এবং কর্মঘণ্টার বাইরে যোগাযোগ রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

তাঁদের মতে, স্বামীর উচিত এই ধরনের আচরণের সীমা নির্ধারণ করা। কেউ কেউ মনে করেন, স্বামী যদি বিষয়টির উপযুক্ত সমাধান না করেন, তবে ভবিষ্যতে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

পরবর্তীতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী জানিয়েছেন, এর আগেও ওই সহকর্মী তাঁকে এ ধরনের বার্তা পাঠিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অফিসের কাজের বাইরেও প্রায়ই বার্তা আদান-প্রদান হয়।

এই ঘটনায় অনেকে তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে কেউ কেউ মনে করেন, বিষয়টি এখনো নিছক বন্ধুত্বের পর্যায়েই থাকতে পারে।

তাদের মতে, ওই নারীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার পরই একটা সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। এক্ষেত্রে স্বামীর উচিত স্ত্রীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *