কনের বিয়েতে ‘ফুলের বালক’ বন্ধু! অতঃপর…

নববধূ ও তার বন্ধু: এক ব্যতিক্রমী বিয়ের গল্প

বিশ্বজুড়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে এখন চিরাচরিত ধারণার বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত রুচি ও বন্ধুত্বের উদযাপন বাড়ছে। ভালোবাসার এই দিনে যুগলরা তাদের নিজস্বতা ফুটিয়ে তুলতে চায়, যা বিয়ের অনুষ্ঠানকে আরও আনন্দময় করে তোলে।

সম্প্রতি এমনই একটি ব্যতিক্রমী বিয়ের গল্প সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালেক্সা মেসার নামের এক তরুণী, যিনি তার বিয়েতে কোনো শিশু অতিথিকে আমন্ত্রণ জানাননি, বরং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ট্রে সামারসকে বিয়ের অনুষ্ঠানে ফুল ছড়ানোর জন্য আমন্ত্রণ জানান।

ট্রে পেশায় একজন মডেল ও নৃত্যশিল্পী। স্বাভাবিকভাবেই, এই বিষয়টি অনেকের কাছেই বেশ আকর্ষণীয় ছিল।

সাধারণত, কনেদের বিয়েতে ফুল ছড়ানোর কাজটি কোনো শিশু করে থাকে। তবে অ্যালেক্সা চেয়েছিলেন তার বন্ধু ট্রে-কে এই বিশেষ কাজটি করতে দিতে।

তাদের বন্ধুত্বের গভীরতা বোঝাতেই এমন একটি ভিন্নধর্মী আয়োজন। ট্রে-ও জানান, এই বিয়েতে অংশ নিতে পেরে তিনি খুবই আনন্দিত।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বিয়ের ছবি ও ভিডিও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। টিকটকে আপলোড করার পর ভিডিওটি কয়েক কোটি ভিউ হয়।

অনেকেই এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। কেউ কেউ হয়তো এমন আয়োজনে কনের গুরুত্ব কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তবে অ্যালেক্সা ও ট্রে দুজনেই জানিয়েছেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বন্ধুত্বের উদযাপন এবং বিয়ের দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে রাখা।

আলোচনা সমালোচনার মাঝে অ্যালেক্সা জানান, তিনি সবসময়ই চেয়েছিলেন তার বিয়েটি যেন চিরাচরিত ধারণার বাইরে হয়। তিনি মনে করেন, বিয়ের কনে ও বর তাদের ইচ্ছামতো সবকিছু করার স্বাধীনতা রাখেন।

ট্রে-ও জানান, তিনি কনের ইচ্ছাকে সবসময় সম্মান করেছেন এবং এই আয়োজনের মাধ্যমে তাদের বন্ধুত্বের গভীরতাই ফুটে উঠেছে।

এই ঘটনা প্রমাণ করে, বিয়ের অনুষ্ঠানে এখন বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের গুরুত্ব বাড়ছে। চিরাচরিত প্রথা ভেঙে যুগলরা তাদের ভালোবাসার উদযাপনকে আরও ব্যক্তিগত ও আনন্দময় করে তুলছেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *