গ্লোরিয়া এস্তেফানের জীবন: কঠিন আঘাত থেকে ঘুরে দাঁড়ানো এক কিংবদন্তীর গল্প।
আজ থেকে ৩৫ বছর আগের কথা। ১৯৯০ সালের ২০শে মার্চ, এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত শিল্পী গ্লোরিয়া এস্তেফান। তুষার ঢাকা পেনসিলভেনিয়ার হাইওয়েতে তার ট্যুর বাসে একটি সেমি-ট্রাক ধাক্কা দেয়।
মারাত্মক এই দুর্ঘটনায় কোমর ভেঙে গিয়েছিল তার। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা এই শিল্পী জীবনের সেই কঠিন মুহূর্তটিকে কিভাবে দেখেন, তা নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন তিনি।
গ্লোরিয়া এস্তেফান জানিয়েছেন, জীবনের এই কঠিন অভিজ্ঞতা তাকে নতুনভাবে বাঁচতে শিখিয়েছে। তিনি বলেন, “দুর্ঘটনার পর আমি উপলব্ধি করেছি, জীবনকে উপভোগ করা, আপনজনদের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা এবং কৃতজ্ঞতাবোধ—এগুলো আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
তার মতে, এই ঘটনা তাকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে।
নিজের ৫০ বছরের সঙ্গীত জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এস্তেফান জানান, অতীতের দিকে তাকালে তিনি চান, সেই সময়ের নিজেকে বলতে, “প্রত্যেকটি মুহূর্তকে উপভোগ করো।
কোনো কিছুই এত গুরুত্বপূর্ণ নয়। শুধু সেখানে থাকো, গান শোনো এবং কোনো ত্রুটি নিয়ে চিন্তা করো না।” শিল্পী মনে করেন, ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময়ে অনেক সময় তিনি জীবনের আসল আনন্দ থেকে দূরে ছিলেন।
সম্প্রতি গ্লোরিয়া এস্তেফান তার নতুন অ্যালবাম ‘রাইসেস’ (Raíces) প্রকাশ করেছেন, যার অর্থ ‘শিকড়’। এই অ্যালবামের গানগুলো মূলত লিখেছেন তার স্বামী এমিলিও এস্তেফান।
গ্লোরিয়া জানান, অ্যালবামটি একটি ব্যক্তিগত ভালোবাসার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “রাইসেস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা সবাই আমাদের শিকড় থেকে এসেছি।
যারা আমাদের ভালোবাসে এবং লালন-পালন করেছে, তারা সবসময় আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের সংস্কৃতি উদযাপন করা গুরুত্বপূর্ণ—কারণ এটিই আমাদের পরিচয়।”
গ্লোরিয়া এস্তেফান ল্যাটিন পপ সঙ্গীতের জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার গান সারা বিশ্বে মানুষের হৃদয় জয় করেছে।
তার এই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প শুধু একজন শিল্পীর নয়, বরং সকল মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা। কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে কীভাবে জীবনকে ভালোবাসতে হয়, গ্লোরিয়া এস্তেফান যেন তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তথ্য সূত্র: পিপলস