সিনেমা জগতের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র, পরিচালক সেলিন সং এবং কিংবদন্তি রোমান্টিক কমেডি (Rom-Com) নির্মাতা নোরা এফরনের (Nora Ephron) কাজের প্রতিচ্ছবি নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সিনেমা ‘ম্যাটেরিয়ালিস্টস’ (Materialists)। এই সিনেমায় প্রেম, সম্পর্কের জটিলতা, এবং সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শকদের মন জয় করতে প্রস্তুত।
সিনেমাটি এরই মধ্যে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।
সেলিন সং তাঁর এই সিনেমায় নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ের রোমান্টিক কমেডি ঘরানার প্রতি আকর্ষণ ফুটিয়ে তুলেছেন। সিনেমার গল্পে প্রেম, সম্পর্কের টানাপোড়েন, এবং হাস্যরসের এক দারুণ মিশ্রণ রয়েছে।
‘ম্যাটেরিয়ালিস্টস’-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডাকোটা জনসন (Dakota Johnson), পেড্রো প্যাসকেল (Pedro Pascal), এবং ক্রিস ইভান্স (Chris Evans)।
নোরা এফরনের কাজের প্রতি সেলিন সংয়ের গভীর আগ্রহ ছিল, বিশেষ করে তাঁর সিনেমার গল্প বলার ধরন এবং চরিত্রের গভীরতা সেলিনকে প্রভাবিত করেছে। ‘ম্যাটেরিয়ালিস্টস’-এর গল্পে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
সিনেমার সংলাপ থেকে শুরু করে দৃশ্য পরিকল্পনা, সবকিছুতেই নোরা এফরনের সিনেমার ছোঁয়া রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, ‘হোন হ্যারি মেট স্যালি…’-এর (When Harry Met Sally…) কিছু দৃশ্যের আদলে এখানে ক্লায়েন্টদের সাক্ষাৎকার দেখানো হয়েছে, যেখানে তারা তাদের সঙ্গীর বৈশিষ্ট্য নিয়ে কথা বলছেন।
এছাড়াও, ‘ইউ’ভ গট মেইল’ (You’ve Got Mail)-এর মতো, এখানেও সম্পর্কের গভীরতা এবং ভুল বোঝাবুঝিগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যা দর্শকদের আকর্ষণ করবে।
সিনেমার গল্পে লুসি (Dakota Johnson) নামের একজন সফল ম্যাচমেকারের জীবন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যিনি একইসঙ্গে তার পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন।
তার জীবনে আসে নতুন প্রেম, আবার পুরোনো প্রেমও ফিরে আসে। এই পরিবর্তনের মধ্যে, লুসি কীভাবে তার জীবনকে নতুনভাবে সাজায়, সেটিই সিনেমার মূল বিষয়।
সেলিন সংয়ের মতে, নোরা এফরনের সিনেমাগুলো নারীদের পেশাগত জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছিল। ‘ম্যাটেরিয়ালিস্টস’-এর লুসির চরিত্রেও সেই বিষয়টি দেখা যায়।
সিনেমায়, লুসিকে এমন একজন নারী হিসেবে দেখানো হয়েছে যিনি তার কাজ এবং ভালোবাসার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেন।
সিনেমার চিত্রনাট্যেও এফরনের সিনেমার প্রভাব রয়েছে। ‘ম্যাটেরিয়ালিস্টস’-এর সংলাপে একদিকে যেমন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়, তেমনই জীবনের গভীর সত্যগুলোও উঠে আসে।
সিনেমায় ধনী এবং গরিবের মধ্যেকার সম্পর্ক, ভালোবাসার সংজ্ঞা, এবং আধুনিক সমাজের সম্পর্কগুলো নিয়ে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
সেলিন সংয়ের এই সিনেমাটি শুধু একটি ভালোবাসার গল্প নয়, বরং সম্পর্কের জটিলতা, সামাজিক প্রেক্ষাপট, এবং মানুষের ভেতরের আকাঙ্ক্ষাগুলোকেও তুলে ধরেছে।
সিনেমাটি দর্শকদের আকর্ষণ করবে এবং নতুন করে ভালোবাসার সংজ্ঞা দিতে সহায়তা করবে।
তথ্যসূত্র: পিপল (People)