উইলিয়ামের দিকে তাকিয়ে কেট, মুগ্ধ হলো বিশ্ব!

প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ট্রুপিং দ্য কালার’ (Trooping the Colour) অনুষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ সামরিক কুচকাওয়াজ। এই দিনে, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রেজিমেন্ট তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করে এবং রাজার আনুষ্ঠানিক জন্মদিন উদযাপন করা হয়।

চলতি বছর, ১৪ই জুন তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়া এই অনুষ্ঠানে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা যায়, যা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রিন্সেস অফ ওয়েলস, কেইট মিডলটন, তাঁর স্বামী প্রিন্স উইলিয়ামকে ভালোবাসাপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। ঘোড়ার পিঠে চড়ে কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া প্রিন্স উইলিয়ামকে এই সময় বেশ আকর্ষণীয় দেখাচ্ছিলো।

এই দৃশ্যটি অনেকের মনে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপের ভালোবাসার মুহূর্তের কথা মনে করিয়ে দেয়। অতীতে, এমন একটি অনুষ্ঠানে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথও প্রিন্স ফিলিপের দিকে একই রকম স্নেহপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন।

প্রিন্স উইলিয়াম ছিলেন ওয়েলশ গার্ডের কর্নেল-ইন-চিফ এবং তিনি সেনাবাহিনীর পোশাকে সজ্জিত হয়ে প্যারেডে অংশ নেন। অন্যদিকে, প্রিন্সেস কেইটকে দেখা যায় রাজার সাথে সম্মানের আসনে।

তিনি ছিলেন আইরিশ গার্ডের কর্নেল এবং প্যারেডের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রিন্স জর্জ, প্রিন্সেস শার্লোট এবং প্রিন্স লুই-কে নিয়ে এসেছিলেন এই দম্পতি।

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ ছিলেন ৭৩ বছরের সুখী দম্পতি। ২০২১ সালের এপ্রিলে প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর পর, তাঁকে উইন্ডসর ক্যাসেলের কিং জর্জ ষষ্ঠ মেমোরিয়াল চ্যাপেলে সমাহিত করা হয়।

বর্তমান প্রিন্স এবং প্রিন্সেস অফ ওয়েলস-এর মধ্যেও গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান, যা তাঁদের একসঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তেই ফুটে ওঠে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রিন্সেস কেইট তাঁর স্বামীর রাজকীয় দায়িত্ব পালনে সবসময় অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যান, অনেকটা প্রিন্স ফিলিপের মতো যিনি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সমর্থন জুগিয়েছেন।

কেইট মিডলটন সব সময় প্রিন্স উইলিয়ামের পাশে থেকে তাঁকে উৎসাহিত করেন। লেখক সারা গ্রিস্টউড-এর মতে, “তাঁদের (উইলিয়াম ও কেইটের) সম্পর্ক আধুনিক রাজকীয় বিবাহের একটি উদাহরণ, যেখানে ভালোবাসা মুখ্য। একইসাথে, এটি পুরনো দিনের সম্পর্কের মতোই, যেখানে কেইট তাঁর স্বামীর প্রতি সবসময় সহযোগী মনোভাব পোষণ করেন।”

ঐতিহ্যপূর্ণ এই অনুষ্ঠানটি শুধু যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের একটি অংশই নয়, বরং এটি রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যেকার ভালোবাসার বন্ধনকেও প্রকাশ করে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *