ফেরিস বুয়েলার-এর সেই বিখ্যাত সংলাপ, যা শ্যুটিংয়ের শেষে যোগ করা হয়!

ফ্যারিস বুইলার্স ডে অফ” – ১৯৮৬ সালের এই সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সিনেমাপ্রেমীদের মনে এখনো গেঁথে আছে ম্যাথিউ ব্রডেরিক অভিনীত ফ্যারিস বুইলারের স্কুল ফাঁকি দিয়ে শিকাগো শহরে একদিনের নানা অ্যাডভেঞ্চারের গল্প।

সম্প্রতি, এই সিনেমার একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এনেছেন ছবিতে ফ্যারিসের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা সিন্ডি পিকেট।

সিন্ডি জানান, সিনেমার একেবারে শেষে ফ্যারিসের মুখ থেকে শোনা যাওয়া বিখ্যাত উক্তিটি – “জীবন খুব দ্রুত চলে, মাঝে মাঝে না দাঁড়ালে অনেক কিছুই মিস হয়ে যায়” – আসলে চিত্রনাট্যে ছিল না। পরিচালক জন হিউজ এই লাইনটি সিনেমার একদম শেষে যোগ করেছিলেন।

হলিউড শো-তে “ফ্যারিস বুইলার্স ডে অফ”-এর শিল্পী ও কলাকুশলীরা একত্রিত হয়েছিলেন। সেখানেই সিন্ডি পিকেট এই কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, সিনেমার এই শেষ সংলাপটি তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দের একটি অংশ, যা তিনি প্রায়ই মনে করেন এবং অনুসরণ করেন।

সিনেমাটি মুক্তির এত বছর পরেও দর্শকদের মনে গেঁথে থাকার কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করেন এর গভীর বার্তা। একজন কিশোর কীভাবে জীবনকে উপভোগ করতে হয়, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে হয়, সেই গল্পটিই যেন সিনেমাটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

সিনেমার পরিচালক জন হিউজ-এর কাজের প্রতি একাগ্রতা ও সিনেমাটির সাফল্যের পেছনে তাঁর কঠোর পরিশ্রমের কথাও অনেকের অজানা নয়।

অভিনেতা ম্যাথিউ ব্রডেরিকও পরিচালকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতার কথা জানান। ব্রডেরিক বলেন, জন হিউজ সব সময় সিনেমার কাজকে গুরুত্ব দিতেন।

“ফ্যারিস বুইলার্স ডে অফ”-এর মতো একটি কালজয়ী সিনেমা তৈরি করতে পরিচালকের একাগ্রতা ও অভিনেতাদের নিপুণ অভিনয় যে অপরিহার্য, তা এই সিনেমার প্রেক্ষাপটে আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *