ভাইরাল চ্যালেঞ্জ: বাবার ক্রেডিট কার্ডে ছেলের আবদার, ফল যা হলো!

শিরোনাম: ভাইরাল চ্যালেঞ্জের পর, আমেরিকান বালকের স্বপ্ন পূরণ, দেখা হলো তার প্রিয় খেলোয়াড়ের সাথে

ছোট্ট ক্যাসন, বয়স মাত্র নয় বছর, সম্প্রতি একটি অনলাইন চ্যালেঞ্জে অংশ নেয়। দেয়ালের উপর দিয়ে একটি ক্রেডিট কার্ড ছুঁড়ে মারলে, সেটি কপালে ধরে ফেললে যা খুশি তাই কেনার সুযোগ পাওয়া যাবে – এমনটাই ছিল সেই চ্যালেঞ্জের নিয়ম।

ক্যাসন সফলভাবে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তার সৎ বাবা জশ উইলসন কথা রেখেছিলেন, এবং ক্যাসনকে একটি বিশেষ উপহার দিতে রাজি হন।

সাধারণত, শিশুরা এই চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে ব্যর্থ হয়। কিন্তু ক্যাসনের কপাল ভালো ছিল, সে সহজেই কাজটি করতে সক্ষম হয়। এরপর যখন তার বাবা তাকে কিছু কিনে দিতে চান, ক্যাসনের চাওয়াটা ছিল একেবারেই অন্যরকম।

সে কোনো খেলনা বা গ্যাজেট চায়নি। তার একমাত্র আবদার ছিল, তার প্রিয় খেলোয়াড়, টেক্সাস রেঞ্জার্স দলের খেলোয়াড় অ্যাডোলিস গার্সিয়ার সাথে দেখা করা।

বাবা জশ প্রথমে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কারণ, পেশাদার খেলোয়াড়ের সাথে দেখা করা সহজ নয়। কিন্তু তিনি চেষ্টা করতে রাজি হন।

ঘটনাচক্রে, ক্যাসনের এই ইচ্ছের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। টিকটকে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে, টেক্সাস রেঞ্জার্স দলের কর্মকর্তাদের এবং খেলোয়াড়দের স্ত্রীদের নজরে আসে।

এর ফলস্বরূপ, ক্যাসন এবং তার পরিবারকে টেক্সাস রেঞ্জার্স দলের খেলা দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। শুধু তাই নয়, তাদের জন্য মাঠের ভেতরে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে তারা খেলোয়াড়দের সাথে দেখা করার সুযোগ পায়।

ক্যাসনের প্রিয় খেলোয়াড় অ্যাডোলিস গার্সিয়ার সাথে কথা বলার ও ছবি তোলার সুযোগ হয়। দলের খেলোয়াড়দের স্ত্রীরা তাদের জন্য অটোগ্রাফ করা বেসবল এবং অন্যান্য উপহার সামগ্রী নিয়ে আসেন।

ক্যাসনের বাবা জানান, পুরো অভিজ্ঞতাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তিনি টেক্সাস রেঞ্জার্স দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, কারণ তারা ক্যাসনের স্বপ্ন পূরণ করেছে।

তিনি বলেন, “এই ঘটনা প্রমাণ করে, কিভাবে সামান্য সহযোগিতা মানুষের জীবনে আনন্দ বয়ে আনতে পারে।” তিনি আরও যোগ করেন, তার সন্তানরা এখনীবন টেক্সাস রেঞ্জার্স দলের সমর্থক থাকবে।

এই গল্পটি শুধু একটি বাচ্চার স্বপ্নপূরণের কাহিনী নয়, বরং এটি উদারতা ও ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *