ভারতে প্লেন দুর্ঘটনায় পিতার মৃত্যু: দুই কন্যার জীবনে নেমে এলো ঘোর অন্ধকার!

শিরোনাম: স্ত্রীর শেষকৃত্য সেরে ফিরছিলেন, ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দুই কন্যার জনক

লন্ডনে বসবাসকারী এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ভারতের একটি বিমান দুর্ঘটনায়। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে করে তিনি ভারতে এসেছিলেন তাঁর প্রয়াত স্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে। জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির নাম অর্জুন পাতোলিয়া, বয়স ছিল ৩৭ বছর।

গত সপ্তাহে তাঁর স্ত্রী ভারতী পাতোলিয়া ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্ত্রীর শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য তিনি ভারতের গুজরাটে এসেছিলেন, এবং সেখানেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

গত ১২ই জুন, আহমেদাবাদ সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট এআই-১৭১ ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ২৩০ জনের বেশি যাত্রী ও ক্রু সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে তদন্তকারীরা ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করেছেন।

খবর অনুযায়ী, অর্জুন পাতোলিয়া তাঁর স্ত্রীর শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে গুজরাটের একটি নদীতে তাঁর চিতাভস্ম বিসর্জন দিতে গিয়েছিলেন। হিন্দু ধর্মানুসারে, পবিত্র নদীতে মৃতের ভস্ম বিসর্জন দেওয়া মোক্ষলাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

জানা গেছে, অর্জুনের দুই মেয়ে রয়েছে, যাদের বয়স যথাক্রমে ৪ ও ৮ বছর। তাঁদের মা-কে হারানোর শোকের মধ্যেই, এখন বাবাকেও হারাতে হলো।

অর্জুনের কর্মস্থলের পক্ষ থেকে তাঁর দুই মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য একটি ‘গোফান্ডমি’ পেজ খোলা হয়েছে। এই পর্যন্ত ৪ লক্ষ ২২ হাজারের বেশি পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি টাকা) উঠেছে, যা মেয়েদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য ব্যয় করা হবে।

দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। বিমানটিতে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ভারতের নাগরিক, ব্রিটিশ ও পর্তুগিজ নাগরিক এবং একজন কানাডার বাসিন্দা।

এই দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আরও একটি পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে এক দম্পতি ও তাঁদের তিন সন্তান ছিলেন।

বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিবিসির ফুটেজে দেখা গেছে, উড়োজ্জ্বল অবস্থার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই এটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *