বাবা দিবস: পিতৃ-দিবসের গুরুত্ব বাড়ছে কি বাংলাদেশে?
বিশ্বজুড়ে বাবা দিবস পালনের চল বাড়ছে, পিতৃত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের এই দিনটি এখন অনেক দেশে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উদযাপিত হয়। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির সংস্কৃতিতে পিতার স্থান অনেক উঁচুতে, পরিবারের কর্তাব্যক্তি হিসেবে বাবার সম্মান ও মর্যাদা অনস্বীকার্য।
তাই, বাবা দিবসের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক।
বর্তমানে, বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, বাবা দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে অর্থ ব্যয় বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন ও প্রসপার ইনসাইটস অ্যান্ড অ্যানালিটিকস-এর মতে, এই বছর বাবা দিবসে প্রায় ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হতে পারে, যা গত বছরের ২২.৯ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি।
এই হিসাবে, একজন মানুষ গড়ে তার বাবার জন্য প্রায় $১৯৯.৩৮ ডলার খরচ করতে পারেন।
তবে, মা দিবসের তুলনায় এই খরচ এখনো বেশ কম। মা দিবসে গড়ে একজন মানুষ প্রায় ২৫৯.০৪ ডলার খরচ করেন, যা বাবা দিবসের চেয়ে অনেক বেশি। যদিও আগের বছরগুলোর তুলনায় এই পার্থক্য কিছুটা কমে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বাবা দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। অনেকে মনে করেন, এই দিনে বাবার প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। বাংলাদেশেও বাবা দিবসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়, উপহার দেওয়া বা এই দিনের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনাও হয়।
বিভিন্ন পরিসংখ্যানে ব্যয়ের এই ভিন্নতা দেখা গেলেও, দিনটি উদযাপনের আগ্রহ বাড়ছে, যা একটি শুভ লক্ষণ। আমাদের সমাজে বাবার ভূমিকা অবিচ্ছেদ্য।
সন্তানের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে বাবার অবদান অনস্বীকার্য।
মা দিবসের মতো বাবা দিবসের প্রচার ও প্রসার হয়তো এখনো সেভাবে দেখা যায় না, তবে দিনটি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। ভবিষ্যতে, এই দিনে আরও বেশি উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা করা যায়।
তথ্য সূত্র: