৯ বছরের মেয়ের একা পার্কে যাওয়া: মায়ের মনে আগুন!

শিরোনাম: খেলার সাথীর বাড়িতে যাওয়া, আর ৯ বছরের মেয়ের একা পার্কে যাওয়া নিয়ে মায়ের উদ্বেগ

আজকাল শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৯ বছর বয়সী এক মেয়েকে খেলার সাথীর বাড়িতে খেলতে যাওয়ার পর স্থানীয় পার্কে বন্ধুদের সঙ্গে একা যেতে দেওয়ায় এক মা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

এই ঘটনাটি নিয়ে অনলাইন আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে, যেখানে অভিভাবকদের ভিন্ন ভিন্ন মতামত উঠে এসেছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন ওই মায়ের মেয়ে তার এক বন্ধুর বাড়িতে খেলতে যায়। মেয়েকে জানান হয়েছিল, খেলার পরে মেয়ে ও তার বন্ধুকে বন্ধুর বাবার তত্ত্বাবধানে পার্কে নিয়ে যাওয়া হবে।

কিন্তু পরে জানা যায়, মেয়ে ও তার বন্ধু সহ আরও কয়েকজন বন্ধু মিলে কোনো অভিভাবক ছাড়াই পার্কে গিয়েছিল।

মা জানিয়েছেন, পার্কটি বন্ধুর বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে নয়, তবে এর আগে তার মেয়ের একা বাইরে যাওয়ার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে মেয়েকে অবশ্যই একাকী বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে, তবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার নিজের থাকা উচিত।

মায়ের মতে, “আমি সম্ভবত এই কারণে বেশি উদ্বিগ্ন যে, তাদের একা যেতে দেওয়া হয়েছে, নাকি আমাকে না জানিয়ে এমনটা করা হয়েছে।”

অনলাইন আলোচনায় অনেকে মায়ের উদ্বেগকে সমর্থন করেছেন। তাদের মতে, অন্য কোনো অভিভাবকের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, মায়ের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।

আবার কেউ কেউ বলছেন, ৯ বছর বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে পার্কে যাওয়াটা তেমন উদ্বেগের বিষয় নয়। তবে এক্ষেত্রে মায়ের জানানো উচিত ছিল।

আলোচনায় শিশুদের স্বাধীনতা দেওয়া এবং তাদের নিরাপত্তা দুটো বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কি করতে হবে, সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।

যেমন, কোনো সমস্যা হলে তারা কিভাবে বন্ধুর বাড়ি ফিরবে, তাদের কাছে ফোন আছে কিনা, অথবা কেউ তাদের ভয় দেখালে তারা কি করবে, ইত্যাদি বিষয়গুলো শিশুদের জানানো উচিত।

অন্যদিকে, অনেকে এই ঘটনাকে “নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে এমন একটা বিষয়” হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, অতীতে শিশুদের একা বাইরে খেলাধুলা করাটা খুবই স্বাভাবিক ছিল।

এখনো অনেক দেশে শিশুরা এভাবেই বেড়ে ওঠে। তাদের মতে, আধুনিক অভিভাবকত্বের কারণে শিশুদের মধ্যে প্রয়োজনীয় কিছু দক্ষতা বিকাশের সুযোগ কমে যাচ্ছে।

বাচ্চাদের নিরাপত্তা এবং তাদের স্বাধীনতা—এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই জরুরি। অভিভাবকদের উচিত তাদের এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং সন্তানের বয়স ও পরিপক্কতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া।

অভিভাবকদের মধ্যে আলোচনা ও মতবিনিময় শিশুদের ভালো ভবিষ্যতের জন্য সহায়ক হতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *