ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সংঘাত আরও তীব্র রূপ নিয়েছে, যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে। সোমবার সকালে ইরান ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্রের আরেকটি নতুন আঘাত হানে, যার ফলে সারা দেশে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে।
এই হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার ফলে মার্কিন কনস্যুলেটের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কোনো আমেরিকান কর্মী আহত হয়নি।
তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তেল আবিব এবং জেরুজালেমের দূতাবাস সোমবার সারাদিন বন্ধ ছিল।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে ইসরায়েলের আক্রমণের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত হয়েছে এবং ১,২৭৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে, ইসরায়েল জানিয়েছে তাদের পক্ষে ১৪ জন নিহত এবং ৩৯০ জন আহত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা মঙ্গলবার এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হতে যাচ্ছেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ইইউ’র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান, কজা কাল্লাস বলেছেন, “আমরা উত্তেজনা কমাতে এবং ইরানের পারমাণবিক ইস্যুটির একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।”
এদিকে, জানা গেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীকে হত্যার জন্য ইসরায়েলের একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তার মতে, ইসরায়েল এই পরিকল্পনা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে জানালে, ট্রাম্প তা প্রত্যাখ্যান করেন। ট্রাম্প প্রশাসন আশঙ্কা করেছিল যে, খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা এই অঞ্চলের সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
সংঘাতের এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, উভয় পক্ষের এমন আক্রমণ আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস