নারীদের বাস্কেটবল জগতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন ক্যাটলিন ক্লার্ক। তাঁর আগমনে যেন এক অভাবনীয় উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, যা খেলোয়াড় থেকে শুরু করে দর্শক—সবার মনেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি, ইন্ডিয়ানা ফিভার-এর হয়ে খেলার সময়, ক্লার্কের উপস্থিতি স্টেডিয়ামে যেন অন্যরকম আবহ তৈরি করে। খেলোয়াড় এবং দর্শক, উভয়ের মধ্যেই ছিল চরম উৎসাহ।
মে মাসের শুরুতে, ইন্ডিয়ানা ফিভার-এর প্রথম ম্যাচে, প্রায় ১৭,০০০ দর্শকাসনে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এই দৃশ্য দেখে অনেকেই যেন চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচের কথা মনে করছিলেন, যেখানে একটি সাধারণ ম্যাচের তুলনায় উত্তেজনা ছিল অনেক বেশি।
এই পরিবর্তনের সাক্ষী শুধু বর্তমান খেলোয়াড়রাই নন, বরং তাঁদের পূর্বসূরিরাও। প্রায় ১৬ বছর ধরে পেশাদার বাস্কেটবল খেলা ডেওয়ানা বনার জানিয়েছেন, তিনি আগে এত দর্শকের সামনে খেলেননি। এই অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে একেবারে নতুন ছিল।
তিনি আরও যোগ করেন, এত মানুষের চিৎকার তাঁর ভালো লাগে এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে।
ক্লার্কের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতা। তাঁর খেলা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক তরুণ খেলোয়াড় এখন বাস্কেটবলে নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখছেন।
১১ বছর বয়সী কামরিন থমাস এবং তাঁর বন্ধু মেরিন্ডি কেনিংটন ক্যাটলিন ক্লার্ককে খেলার মাঠে দেখার জন্য প্রায় ৩০০ মাইল পাড়ি দিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের স্বপ্ন, একদিন তাঁরাও ডব্লিউএনবিএ-তে খেলবেন।
ক্লার্কের এই উত্থান শুধু খেলাধুলার জগৎকে নয়, বরং নারীদের ক্ষমতায়নেও এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। অনেক মা তাঁদের মেয়েদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করছেন এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন।
তবে, ক্লার্কের এই সাফল্যের পেছনের কারণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়েছে। ক্লার্ক যখন আহত হয়ে মাঠের বাইরে ছিলেন, তখন টিকিটের দাম কমে যায় ৭১ শতাংশ।
ক্লার্ক নিজেও মনে করেন, নারীদের খেলাধুলা এখন যে পর্যায়ে এসেছে, তার পেছনে অনেক মানুষের অবদান রয়েছে। তিনি তরুণ প্রজন্মের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যেতে চান।
সম্প্রতি, ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে থাকার পর, ক্লার্ক আবার খেলায় ফিরেছেন এবং তাঁর দল নিউ ইয়র্ক লিবার্টির বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছে। এই ম্যাচে ক্লার্কের খেলা দেখে দর্শকরা আরও একবার মুগ্ধ হয়েছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন