ইন্ডিয়ানা প্যাসার্স দলের কোচ, রিক কার্লাইল, বাস্কেটবল খেলার একজন রেফারি স্কট ফস্টারের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। খেলার চতুর্থ পর্বে ফস্টারের রেফারিং নিয়ে অনলাইনে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল, যা তিনি ভালোভাবে নেননি।
রবিবার (স্থানীয় সময়) ওকলাহোমা সিটিতে অনুষ্ঠিত খেলাটির পর কার্লাইল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, স্কট ফস্টারের খেলা পরিচালনা সম্পর্কে তিনি অনেক কথা শুনেছেন, যা খুবই দুঃখজনক।
কার্লাইল বলেন, তিনি গত ৩০ বছর ধরে স্কট ফস্টারকে চেনেন এবং তিনি একজন অসাধারণ রেফারি। প্লে-অফে তিনি দারুণ কাজ করেছেন।
খেলাটিতে ফস্টার বেশ কয়েকবার বাঁশি বাজিয়েছেন। ব্যক্তিগত ফাউলের সংখ্যা ছিল ২৩টি—ওকলাহোমা সিটির খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ১২টি এবং ইন্ডিয়ানার খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ১১টি।
এছাড়াও, উভয় দলের খেলোয়াড়দের একটি করে ‘ফ্ল্যাগরেন্ট’ ফাউলও দেওয়া হয়। ইন্ডিয়ানার ওবি টপিন এবং ওকলাহোমা সিটির ইসাইয়া হার্টেনস্টাইনকে ‘টেকনিক্যাল’ ফাউল দেওয়ায় উভয় দলকেই জরিমানা করা হয়।
খেলা শেষে ইন্ডিয়ানার খেলোয়াড় টাইরিস হ্যালিবার্টন স্বীকার করেন যে তাদের আরও ভালো খেলা উচিত ছিল এবং ফাউলগুলো এড়ানো উচিত ছিল।
স্কট ফস্টার বাস্কেটবলের ফাইনাল খেলার একজন অভিজ্ঞ রেফারি। তিনি এর আগে ২৬টি ফাইনাল ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা সক্রিয় রেফারিদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
প্লে-অফের ২৬২টি ম্যাচেও তিনি রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। খেলার সময় রেফারিদের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রায়ই অনলাইনে সমালোচনা হয়, এবং ফস্টারও এর ব্যতিক্রম নন।
যদিও খেলার ফলাফলে ইন্ডিয়ানা হেরে যায়, কোচ কার্লাইল মনে করেন ফস্টারের কাজকে অসম্মান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “এই ধরনের সমালোচনার কোনও ভিত্তি নেই, এটা খুবই দুঃখজনক, অন্যায় এবং বোকামি।”
এই প্রসঙ্গে কার্লাইল আরও বলেন, প্লে-অফের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারের কারণ হতে পারে এবং এখানে রেফারিদের ভূমিকা থাকে। যারা সেরা, তাদের সবাইকেই এখানে সেরা হিসেবে গণ্য করা হয়।
উল্লেখ্য, ফাইনালের জন্য নির্বাচিত ১২ জন রেফারির মধ্যে ফস্টার একজন। প্রথম চারটি ম্যাচে প্রত্যেক রেফারিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এরপর খেলার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে কে দায়িত্ব পালন করবেন, তা নির্ধারণ করা হয়।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।