ভাইরাল: মুখ দেখানোর পর সন্তানদের ছবি সরিয়ে নিলেন বাবা-মা!

সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে শিশুদের ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করার প্রবণতা বাড়ছে, কিন্তু এর ভালো-মন্দ দুটি দিকই রয়েছে।

সম্প্রতি, জনপ্রিয় এক বাবা, ব্রায়ান ল্যাম্বিলট যিনি তাঁর এবং তাঁর স্বামীর, ক্রিসের, যমজ সন্তানের মুখচ্ছবি অনলাইন থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।

ব্রায়ান তাঁর বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা টিকটকে শেয়ার করে বেশ পরিচিতি লাভ করেন, তাঁর অনুসারীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ২০ লক্ষ।

২০১১ সালে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে ব্রায়ান ও ক্রিসের পরিচয় হয়।

এরপর তাঁরা পরিবার শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০১৯ সালে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেন।

এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে তাঁদের প্রায় আড়াই বছর সময় লেগেছিল।

ব্রায়ান তাঁদের এই যাত্রাটির প্রতিটি মুহূর্ত সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন, যা অনেক দম্পতির কাছে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।

কিন্তু তাঁদের সন্তানের মুখচ্ছবি অনলাইনে শেয়ার করা নিয়ে ব্রায়ান অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন।

তিনি দেখতে পান, তাঁর তৈরি করা বহু ভিডিও ক্লিপ চুরি করে অন্য প্রোফাইল থেকে আপলোড করা হচ্ছে, যেখানে তাঁর সন্তানদের মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

এর পরেই তিনি শিশুদের গোপনীয়তাকে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি তাঁর পুরনো পোস্টগুলো থেকে শিশুদের ছবি সরিয়ে ফেলেন এবং ভবিষ্যতে তাঁদের মুখ দেখানোর বিষয়ে সতর্ক হন।

ব্রায়ানের এই সিদ্ধান্তে অনেকে সমর্থন জানালেও, কিছু অনুসারী এতে হতাশ হয়েছেন।

তাঁদের মতে, শিশুদের ছবিগুলি তাঁদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং তা সরিয়ে নেওয়ায় তাঁরা ব্রায়ানের পরিবারের সঙ্গে সংযোগ অনুভব করতে পারছেন না।

ব্রায়ান অবশ্য মনে করেন, তাঁর সন্তানের নিরাপত্তা সবার আগে।

তিনি বলেন, “বিষয়টি ভিউ বা জনপ্রিয়তা পাওয়ার নয়, বরং শিশুদের একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ দেওয়াটাই আসল।”

তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর সন্তানরা এখনো মাঝে মাঝে তাঁর ভিডিওতে আসে, তবে এখন তাঁদের মুখ দেখা যায় না।

ব্রায়ান চান, তাঁর অনুসারীরা তাঁর পিতৃত্বের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুক, কিন্তু শিশুদের ব্যক্তিগত জীবনকে সুরক্ষিত রাখতে চান।

বর্তমানে, ব্রায়ান এবং ক্রিস তাঁদের সন্তানদের নিয়ে একটি সুখী জীবন যাপন করছেন।

তাঁরা মা দিবসে ব্রায়ানের এবং বাবা দিবসে ক্রিসের প্রতি সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা তাঁদের ভালোবাসার গভীরতা আরও বাড়িয়ে তোলে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *