মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটিক পার্টির অভ্যন্তরে বিভেদ: শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা পদত্যাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি (DNC)-তে গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দুই প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা। এই ঘটনা দলটির মধ্যে চলা অভ্যন্তরীণ কোন্দলেরই বহিঃপ্রকাশ।
পদত্যাগ করেছেন আমেরিকান ফেডারেশন অফ টিচার্স-এর প্রধান র্যান্ডি উইংগার্টেন এবং আমেরিকান ফেডারেশন অফ স্টেট, কাউন্টি অ্যান্ড মিউনিসিপ্যাল এমপ্লয়িজ-এর প্রেসিডেন্ট লি স্যান্ডার্স।
জানা গেছে, ডেমোক্রেটিক পার্টির বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে নীতিগত মতবিরোধের কারণেই তাদের এই সিদ্ধান্ত। এই দুই নেতাই DNC-র চেয়ারম্যান কেন মার্টিনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত ছিলেন না।
মার্টিনের বিরুদ্ধে তারা উইসকনসিন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাক্তন চেয়ার বেন উইকলারকে সমর্থন করেছিলেন। মার্টিন যখন কমিটির শীর্ষ পদে কিছু পরিবর্তন আনেন, তখন উইংগার্টেন ও স্যান্ডার্সকে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
তাদের অন্য পদ গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
র্যান্ডি উইংগার্টেন ৫ই জুন এক চিঠিতে জানান, তিনি দলের বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না এবং বৃহত্তর পরিসরে দলটিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ভিন্নমত পোষণ করেন।
লি স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই মুহূর্তে নতুন কৌশল, নতুন চিন্তা এবং পুরনো আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে লড়াই করার সময় এসেছে। তার মতে, এখন দলবদ্ধভাবে কাজ করার পরিবর্তে পিছিয়ে যাওয়ার বা ভেতরের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় নয়।
এদিকে, গত সপ্তাহে DNC-র ভাইস চেয়ার ডেভিড হগও তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
ফেব্রুয়ারিতে তার নির্বাচন সংক্রান্ত একটি প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে ভোট পুনরায় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ডেমোক্রেটিক পার্টির অভ্যন্তরে এই ধরনের ঘটনাগুলো দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রধান রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে এমন নেতাদের পদত্যাগ এবং বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধ, দলটির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এবং আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে আলোচনা চলছে।
তথ্য সূত্র: CNN