মিনেসোটার জনপ্রতিনিধি ও তাঁর স্বামীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর শোক প্রকাশ করলেন তাঁদের সন্তানরা। গত ১৪ই জুন, শনিবার, মিনেসোটা রাজ্যের জনপ্রতিনিধি মেলিসা হোর্টম্যান এবং তাঁর স্বামী মার্ক হোর্টম্যানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
রাজ্যের গভর্নর টিম ওয়ালজ এই ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সোমবার, ১৬ই জুন, প্রকাশিত এক বিবৃতিতে নিহত দম্পতির সন্তান সোফি এবং কলিন হোর্টম্যান তাঁদের শোক প্রকাশ করেন।
তাঁরা বলেন, “বাবা-মা’কে হারিয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও বিধ্বস্ত। তাঁরা ছিলেন আমাদের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু, তাঁদের ছাড়া জীবনটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।
আমাদের প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ছিল সীমাহীন। আমরা তাঁদের খুব মিস করি।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা সবাই নিরাপদে আছি এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। সকলের ভালোবাসা ও সমর্থনে আমরা কৃতজ্ঞ।
এই শোকের সময়ে আমরা আমাদের পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান জানানোর জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত ভান্স বোয়েল্টারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বোয়েল্টারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়-ডিগ্রি হত্যা ও দ্বিতীয়-ডিগ্রি হত্যার চেষ্টার দুটি করে অভিযোগ আনা হয়েছে।
খবর সূত্রে জানা যায়, তাঁকে হোর্টম্যান দম্পতিকে হত্যা এবং মিনেসোটা স্টেট সিনেটর জন হফম্যান ও তাঁর স্ত্রী ইভেত হফম্যানকে হত্যার চেষ্টারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোফি ও কলিন তাঁদের বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানান।
তাঁরা বলেন, “আমাদের বাবা-মাকে বাঁচাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া কর্মকর্তাদের সাহসী প্রচেষ্টা আমরা ভুলতে পারব না।”
তাঁরা তাঁদের বাবা-মায়ের স্মৃতিকে সম্মান জানাতে সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “মার্ক ও মেলিসার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে পারেন গাছ লাগিয়ে, স্থানীয় পার্কে গিয়ে, বিশেষ করে বাইকের ট্রেইলগুলোতে ভ্রমণ করে, একটি কুকুরকে (গোল্ডেন রিট্রিভার হলে ভালো) আদর করে, মজাদার কোনো বাবার কৌতুক বলে হাসাহাসি করে, মার্কের জন্য রুটি অথবা মেলিসার জন্য কেক তৈরি করে তা অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে, নতুন কোনো শখ খুঁজে নিয়ে, ন্যায়বিচার ও শান্তির জন্য নিজের মতামত প্রকাশ করে।”
সবশেষে, তাঁরা বলেন, “ভয়কে জয় করে আশা ও সাহস নিয়ে বাঁচতে হবে।
আমাদের বাবা-মা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন মানুষের জন্য। এই ট্র্যাজেডি আমাদের সকলকে একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
আসুন, আমরা সবাই আমাদের প্রিয়জনদের আরও বেশি ভালোবাসুন, প্রতিবেশীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হই এবং একে অপরের প্রতি সম্মান দেখাই।
আমাদের বাবা-মায়ের স্মৃতিকে সম্মান জানানোর সেরা উপায় হলো, এই সমাজে অন্য কারও জন্য ভালো কিছু করা, তা ছোট হোক বা বড়।”
তথ্য সূত্র: পিপলস