যুদ্ধ বাড়ছে! ইসরাইল-ইরান উত্তেজনা: তেলের বাজারে ভয়ঙ্কর কিছু?

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার জেরে বিশ্ববাজারে তেলের দামে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যে সংঘটিত এই সংঘাতের সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে, বিশেষ করে জ্বালানি তেলের আমদানি ব্যয়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হরমুজ প্রণালী।

পারস্য উপসাগর ও ভারত মহাসাগরের সংযোগকারী এই প্রণালী বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহনের পথ।

প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেল এই পথ দিয়ে সরবরাহ করা হয়।

কোনো কারণে যদি এই পথ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যেতে পারে।

এর সরাসরি প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে, যা আমাদের আমদানি নির্ভরতা আরও বাড়িয়ে দেবে।

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়লে বাংলাদেশের বাজারেও তার প্রভাব পড়বে।

দেশের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা মূল্যস্ফীতি আরও বাড়িয়ে দেবে এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ও বৃদ্ধি করবে।

অতীতেও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সংকট তৈরি হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হরমুজ প্রণালীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে, দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

বর্তমানে, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও, যেকোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *