অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এক মর্মান্তিক ঘটনায় ৩২ বছর বয়সী এক নারী অতিরিক্ত ক্যাফিন সেবনের কারণে মারা গেছেন।
জানা গেছে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ক্রিস্টিনা ল্যাকম্যান নামের ওই নারী অসুস্থ বোধ করার পর জরুরি সাহায্য চেয়ে ফোন করেছিলেন, কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসতে সাত ঘণ্টা লেগে যায়।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ক্রিস্টিনা শরীরে অবশতা এবং মাথা ঘোরানোর কথা জানিয়েছিলেন। এরপর তিনি জরুরি নম্বরে ফোন করেন।
কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় বাথরুমে একাই তার মৃত্যু হয়। পরে, জরুরি বিভাগের কর্মীরা যখন তার বাসায় পৌঁছান, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
তদন্তে জানা গেছে, ক্রিস্টিনা ক্যাফিন ট্যাবলেট সেবন করেছিলেন। জরুরি বিভাগে ফোন করার সময় তিনি তার অসুস্থতার কারণ হিসেবে ক্যাফিনের কথা উল্লেখ করেননি।
একজন বিশেষজ্ঞের মতে, প্রাথমিক পর্যায়ে যদি ক্যাফিন গ্রহণের বিষয়টি জানা যেত, তাহলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যেত এবং সম্ভবত তাকে বাঁচানো সম্ভব হতো। সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে অ্যান্টিডোট থেরাপি ও হেমোডায়ালাইসিসের মাধ্যমে তার জীবন বাঁচানো যেত।
অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে জানা যায়, ঘটনার দিন জরুরি বিভাগের কর্মীরা অন্য গুরুতর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ক্রিস্টিনার ফোন পাওয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্মীরা তাকে কয়েকবার ফোন করার চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরে টেক্সট মেসেজ পাঠিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।
ময়নাতদন্তে জানা গেছে, ক্রিস্টিনার শরীরে ক্যাফিনের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি ছিল। চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যাফিন ওভারডোজের কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যাফিন গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং কোনো সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এই ঘটনাটি অস্ট্রেলিয়ার জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং রোগীদের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়ার দুর্বলতাকেই তুলে ধরে।
সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে একজন মানুষের জীবনহানি, নিঃসন্দেহে একটি দুঃখজনক ঘটনা।
তথ্য সূত্র: পিপল