ইংল্যান্ডের ডেভনে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৩ই জুন, শুক্রবার, ডানকসওয়েল এরোড্রোমে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন ৪৮ বছর বয়সী বেলিন্ডা টেইলর এবং ৩০ বছর বয়সী অ্যাডাম হ্যারিসন।
জানা গেছে, বেলিন্ডার প্রেমিক স্কট আর্মস্ট্রং তাকে ধন্যবাদ জানানোর উদ্দেশ্যে এই স্কাইডাইভিংয়ের টিকিট কিনেছিলেন।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, জরুরি কর্মীরা বেলা ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার তদন্তে পুলিশ, ব্রিটিশ স্কাইডাইভিং কর্তৃপক্ষ এবং ইস্ট ডেভন জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিভাগ একযোগে কাজ করছে।
বেলিন্ডা টেইলর ছিলেন চার সন্তানের মা এবং দুই নাতির-নাতনির দিদিমা। তার বড় ছেলে কনর বোলেস জানান, “মা ছিলেন খুবই পরোপকারী একজন মানুষ। তিনি সবসময় অন্যদের ভালো চাইতেন, বিশেষ করে তার প্রিয়জনদের।”
স্কট আর্মস্ট্রং, বেলিন্ডার প্রেমিক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রতি শোক প্রকাশ করে লেখেন, “আমি তোমাকে খুব মিস করি। তুমি ছিলে আমার সেরা বন্ধু। তোমাকে ছাড়া আমি দিশেহারা হয়ে গেছি।”
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মিরর’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্কট জানান, বেলিন্ডাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য তিনি এই স্কাইডাইভিংয়ের প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন।
প্রথমে ৭,০০০ ফুট থেকে ঝাঁপ দেওয়ার কথা থাকলেও, বেলিন্ডার আগ্রহের কারণে তারা ১৫,০০০ ফুট থেকে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং এর জন্য অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করেন স্কট।
স্কট আরও জানান, তিনি বাইনোকুলার দিয়ে তাদের ঝাঁপ দেখতে পান, কিন্তু এরপরই দেখেন প্যারাসুটটি খোলেনি। এরপর তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং সেখানে বেলিন্ডা ও অ্যাডামকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
স্কট বলেন, “দৃশ্যটা ছিল ভয়ঙ্কর। আমি তাকে খুব মিস করি। আমাদের সবার কাছেই সে ছিল পৃথিবীর আলো, আমরা তাকে কখনোই ভুলব না।”
ব্রিটিশ স্কাইডাইভিং জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার তদন্ত করবে এবং পুলিশ, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ করবে।
এই ঘটনার পর স্কাইডাইভ বাজ নামের একটি সংস্থা তাদের শোক প্রকাশ করেছে এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল