লুস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া – বাস্কেটবল বিশ্বের কিংবদন্তি, লেব্রন জেমস, তার ২৩তম এনবিএ (NBA) সিজনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ৪০ বছর বয়সী এই তারকা খেলোয়াড় দীর্ঘ এবং সফল ক্যারিয়ারের জন্য পরিচিত।
সম্প্রতি, তিনি অ্যামাজনের একটি নতুন বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন, যেখানে প্রাইম ডে-র বিভিন্ন অফার নিয়ে কথা বলা হয়েছে। তবে মাঠের বাইরের এই ব্যস্ততার মাঝেও তার প্রধান মনোযোগ এখন তার হাঁটু’র আঘাত থেকে সেরে ওঠা।
এপ্রিল মাসে লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্সের প্লে-অফ খেলার সময় একটি লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে তিনি আহত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য বিশ্রাম এবং চিকিৎসার ওপর জোর দিচ্ছেন।
লেব্রন জেমস জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে প্রশিক্ষণ শিবির শুরুর আগে তিনি তার শরীরকে শতভাগ প্রস্তুত করতে চান।
আমার ইনজুরির জন্য, আমার হাঁটু’র জন্য এবং শরীরের অন্য অংশের জন্য যথেষ্ট সময় আছে।
আমি নিশ্চিত করতে চাই যে প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেওয়ার সময় আমি যেন প্রায় ১০০ শতাংশ ফিট থাকতে পারি।” খেলোয়াড় হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে খেলার ক্ষেত্রে শরীরকে ফিট রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন এবং কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যান।
পরিবার সবসময়ই লেব্রন জেমসের সাফল্যের পেছনে অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। তার স্ত্রী সাভানা এবং তাদের তিন সন্তান—ব্রনি, ব্রাইস ও জুরির কাছ থেকে তিনি সবসময় সমর্থন পান।
লেব্রন জেমসের বড় ছেলে ব্রনিও এখন লেকার্সের হয়ে বাস্কেটবল খেলেন। এছাড়া, ব্রাইস অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন এবং জুরি ভলিবল খেলেন।
লেব্রন জেমস মনে করেন, পরিবারের এই সমর্থন তাকে আরও ভালো খেলতে উৎসাহিত করে। তিনি বলেন, “তারা সবসময় আমাকে উৎসাহিত করে। তারা বলে, ‘বাবা, তোমার স্বপ্ন চালিয়ে যাও।
এটাই তো তোমার স্বপ্ন। তুমি আমাদের জন্য সবসময় ছিলে।”
লেব্রন জেমসের খেলোয়াড়ি জীবনের সমাপ্তি কখন হবে, সেই বিষয়ে তিনি এখনো নিশ্চিত নন। তবে তিনি মনে করেন, খেলোয়াড়ি জীবন দীর্ঘায়িত করার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই তার মাথায় আসে।
তিনি বলেন, “আমার ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে, অবসরের কথা মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। হয়তো এই বছর অথবা পরের বছর—এমন চিন্তা সবসময়ই আসে। তবে আমি কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করিনি।
আমি দেখছি আমার শরীর এবং পরিবারের প্রতিক্রিয়া কেমন থাকে।”
লেব্রন জেমসের এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন শুধু বাস্কেটবল প্রেমীদের জন্য নয়, বরং সারা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ ঘটনা।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস (AP)