শিরোনাম: ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি ও আক্রমণের অভিযোগ, ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি
ঢাকা, [আজকের তারিখ]। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে, কারণ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইসরাইল সম্ভবত ইরানের বিরুদ্ধে একটি গোপন সামরিক অভিযান চালিয়েছে।
এই অভিযানে গুপ্তচর, অত্যাধুনিক ড্রোন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence – AI) ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইলের এই সামরিক অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো।
ধারণা করা হচ্ছে, হামলার শিকার হওয়া স্থানগুলোর মধ্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, বিমান প্রতিরক্ষা এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ব্যক্তিরাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানা যায়, এই অভিযানটি ছিল দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলা প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার ফল।
ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ (Mossad) এই অভিযানের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল।
অভিযোগ উঠেছে, ইসরাইল এই অভিযানে ইরানের অভ্যন্তরে ড্রোন প্রবেশ করিয়েছিল।
এসব ড্রোন সম্ভবত ছোট আকারের ছিল এবং সেগুলোকে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো। এছাড়া, ইরানের সামরিক কর্মকর্তাদের গতিবিধি ও স্থাপনার ওপর নজরদারির জন্য গুপ্তচরদের ব্যবহার করা হয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় বিশাল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলো চিহ্নিত করা হয়।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইল সম্ভবত ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে দুর্বল করতে চাইছে।
কারণ, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের মতে, অতীতেও ইসরাইল ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে ব্যাহত করার জন্য সাইবার হামলা ও গুপ্তহত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
তবে, ইরানের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তারা বরাবরই তাদের পারমাণবিক কার্যক্রমকে শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে আসছে।
ইরানের নেতারা ইসরাইলের ধ্বংসের জন্য বহুবার প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
তথ্য সূত্র:
