FUBAR-এর দ্বিতীয় সিজনে অ্যাকশন আর থ্রিলারের মোড়কে দর্শকদের জন্য ছিল অনেক চমক। এই সিরিজে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার এবং মনিকা বারবারো।
তাঁদের চরিত্র, লুক ব্রুনার ও এমা ব্রুনার, বাবা ও মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যারা দুজনেই সিআইএ-এর এজেন্ট। দ্বিতীয় সিজনে তাঁদের মিশন ছিল বিশ্বকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো।
এই পর্বে একদিকে যেমন ছিল ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন, তেমনই ছিল পেশাগত জটিলতা।
দ্বিতীয় সিজনের প্রধান ভিলেন ছিল ডান্তে ক্রিস, যে কিনা পারমাণবিক যুদ্ধের মাধ্যমে আমেরিকাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। সিজনের শেষে জানা যায়, আসলে ব্রিটিশ গোয়েন্দা থিওডোর চিপস-ই ছিল ডান্তে ক্রিস।
সে এমার প্রতি তার ভালোবাসার কথা জানালে এমা তা প্রত্যাখ্যান করে। এরপর চিপস পালাতে চেষ্টা করলে, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
এই সিজনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিল গ্রেটা নেলসো, যার সঙ্গে লুকের একটা সম্পর্ক ছিল। গ্রেটা নিজেকে উৎসর্গ করে ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করে দেয় এবং বিশ্বকে বাঁচায়।
যদিও প্রথমে মনে করা হয়েছিল গ্রেটার মৃত্যু হয়েছে, পরে জানা যায়, সে বেঁচে আছে। সে জানায়, “গোয়েন্দা গ্রেটা নেলসোর জীবন সম্ভবত এখানেই শেষ।”
এই মিশনের পরেই লুক সিআইএ থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা করে। সে তার প্রাক্তন স্ত্রী টালির সঙ্গে সমুদ্র ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করে।
এই সিজনে লুক ও টালির সম্পর্কও জোড়া লাগে, এবং লুক আবার টালিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
এছাড়াও, এই সিজনে টিনা নামের এক চরিত্রকে নিয়ে আসে নতুন মোড়। টিনা আসলে ছিল একজন রুশ এজেন্ট, কিন্তু সে ছিল ডাবল এজেন্ট।
সে রাশিয়াকে ভুল তথ্য সরবরাহ করে লুক এবং তার দলকে রক্ষা করে। সিজনের শেষে টিনাকে ফিনল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তার বিনিময়ে গ্রেট ডেন নামের একজন অস্ত্র বিশেষজ্ঞকে মুক্তি দেওয়া হয়।
পরের সিজনে টিনাকে বাঁচানোর জন্য রু নতুন মিশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা দর্শকদের জন্য নতুন আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
তথ্যসূত্র: পিপলস