ডেনমার্কের নতুন চার্চ: ১২টি দেওয়ালের মাঝে এক টুকরো আশ্রয়!

ডেনমার্কে, কোপেনহাগেন শহরের উত্তর হারবার অঞ্চলে সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে দেশটির প্রথম ‘ক্ষুদ্র গির্জা’। কাঠের তৈরি এই গির্জাটি স্থানীয় ইভাঞ্জেলিক্যাল লুথেরান চার্চের একটি অংশ।

এই গির্জাটি তৈরি করা হয়েছে সেখানকার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আধ্যাত্মিক চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে।

প্রায় ৭৬ বর্গমিটারের এই গির্জাটির মূল আকর্ষণ হলো এর ১২টি দেয়াল, যা যিশুর বারোজন শিষ্যের প্রতি উৎসর্গীকৃত। এছাড়াও, এখানে একটি সান-রুফ রয়েছে, যা ভেতরের আলো-বাতাস চলাচল স্বাভাবিক রাখে।

সাধারণত, এখানে একসঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ জনের বেশি মানুষ বসতে পারে।

ডেনমার্কের ৬০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ইভাঞ্জেলিক্যাল লুথেরান চার্চের সদস্য, তবে নিয়মিতভাবে খুব কম সংখ্যক মানুষই গির্জায় যান। বিশেষ করে বড়দিন বা ক্রিসমাসের সময় অনেক মানুষকে এখানে দেখা যায়।

এই প্রেক্ষাপটে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, এই ক্ষুদ্র গির্জাটি বিয়ে, ব্যাপটিজম এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মতো ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ স্থান তৈরি করবে।

কোপেনহাগেন শহরের এই এলাকাটিতে গত কয়েক দশকে জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী এক দশকে এখানে আরও ২০ শতাংশ মানুষ বাড়বে।

প্রকল্প ব্যবস্থাপক জোহানে ডাল-লেভকোভিচ বলেন, “আগে শহর তৈরির আগে গির্জা তৈরি করা হতো, যা একটি সম্প্রদায়ের জন্ম দিতো।

কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। প্রথমে শহর তৈরি হয়, এরপর গির্জার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।”

এই গির্জাটি তৈরির ধারণাটি এসেছে নেদারল্যান্ডসের আলমেরি পোর্টে থেকে, যেখানে অনুরূপ একটি ‘ক্ষুদ্র গির্জা’ তৈরি করা হয়েছিল।

ডেনমার্কের এই গির্জাটিও মূলত কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যার কিছু অংশ স্থানীয় একটি ফ্লোরিং কারখানা থেকে পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে।

ভেতরের দেয়ালগুলো সাদা রঙ করা হয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী ড্যানিশ গির্জার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এছাড়াও, প্রয়োজনে এটিকে অন্য স্থানে সরানোরও ব্যবস্থা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ক্যাটরিন সিহম জানান, তিনি শুরু থেকেই এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং এখানে প্রার্থনা করার জন্য মুখিয়ে আছেন।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *