এথেন্সের উপকূলে এক সময়ের হারানো গৌরব ফিরে আসছে, পর্যটকদের মন জয় করে আবারও আলোচনায়।
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের কাছাকাছি অবস্থিত একটি উপকূলীয় অঞ্চল, যা এথেনিয়ান রিভিয়েরা নামে পরিচিত। একসময় রুপালি পর্দার তারকা থেকে শুরু করে সমাজের উঁচু স্তরের মানুষের কাছে ছিল পছন্দের গন্তব্য।
ষাটের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত এর খ্যাতি ছিল তুঙ্গে। সেই সময়ে এখানকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, স্বচ্ছ নীল জলরাশি আর পাম গাছের সারি এই স্থানটিকে করে তুলেছিল আরও আকর্ষণীয়।
এক সময়ের জনপ্রিয়তা হারাতে বসা এই রিভিয়েরায় যেন আবার প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। বর্তমানে এখানে তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক হোটেল, পাঁচতারা রেস্টুরেন্ট, অভিজাত ক্লাব এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
অতীতের সেই আকর্ষণ ধরে রেখে আধুনিকতার ছোঁয়ায় জায়গাটি নতুন করে সাজানো হয়েছে।
এথেনিয়ান রিভিয়েরার প্রধান আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে পোসেইডনের মন্দির। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে নির্মিত এই মন্দিরটি সমুদ্র দেবতার প্রতি উৎসর্গীকৃত।
এছাড়াও, এখানকার ভাউলিয়াগেনি হ্রদ, অ্যাস্টের বিচ, ভাউলিয়াগেনি বিচ এবং স্তাভ্রোস নিয়ারকোস ফাউন্ডেশন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
কাছাকাছি অবস্থিত সারোনিক উপসাগরের দ্বীপগুলোতেও সহজে ভ্রমণ করা যায়।
এই অঞ্চলে খাবারের জন্য রয়েছে বিভিন্ন স্বাদের রেস্টুরেন্ট। টাভার্না ৩৭-এর মতো রেস্টুরেন্টগুলোতে স্থানীয় সি-ফুড ও নানান পদ উপভোগ করা যায়।
বার্বারোসা-তে রয়েছে ভূমধ্যসাগরীয় খাবারের সম্ভার।
যারা কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এখানে রয়েছে ইওওআনু মেটাক্সা স্ট্রিট, যেখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকান রয়েছে।
আবাসনের জন্য এখানে রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন হোটেল। এদের মধ্যে ফোর সিজনস অ্যাস্টের প্যালেস হোটেল এথেন্স অন্যতম, যা এক সময়ের আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে আজও বিদ্যমান।
এথেনিয়ান রিভিয়েরার এই পুনর্জন্ম প্রমাণ করে যে, একটি অঞ্চলের সৌন্দর্য ও আকর্ষণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে, কিন্তু তার আসল আকর্ষণ সবসময়ই অম্লান থাকে।
তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক