প্রিয় তারকা অ্যান বারেলের অকাল প্রয়াণ: খাদ্য জগতে শোকের ছায়া!

বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, অ্যান বুরেল, ৫৫ বছর বয়সে প্রয়াত।

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ফুড নেটওয়ার্কের জনপ্রিয় রন্ধনশিল্পী অ্যান বুরেল আর নেই। গত ১৭ই জুন, মঙ্গলবার, নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে নিজের বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। খাদ্য এবং রান্নার জগতে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।

অ্যান বুরেল-এর রান্নার প্রতি ভালোবাসা ছিল সহজাত। তিনি “ওর্স্ট কুকস ইন আমেরিকা” (Worst Cooks in America) সহ ফুড নেটওয়ার্কের বিভিন্ন জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন। রান্নার প্রতি তাঁর আবেগ, রন্ধনশৈলীর দক্ষতা এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা তাঁকে বিশেষ পরিচিতি এনে দেয়।

তাঁর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব এবং স্বতন্ত্র হেয়ারস্টাইল খাদ্যপ্রেমীদের কাছে খুবই পরিচিত ছিল।

১৯৬৯ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর, নিউ ইয়র্কের ক্যাজেনোভিয়াতে জন্ম নেওয়া অ্যান বুরেল ছোটবেলা থেকেই মায়ের রান্নার প্রতি আকৃষ্ট হন। পরবর্তীতে তিনি ক্যানিসিয়াস কলেজ থেকে ইংরেজি এবং যোগাযোগ বিষয়ে পড়াশোনা করেন।

এরপর তিনি বিখ্যাত “দ্য কুলিনারি ইনস্টিটিউট অফ আমেরিকা”-তে (The Culinary Institute of America) যোগ দেন, যেখানে তিনি ১৯৯৬ সালে স্নাতক হন। ইতালীয় খাবারের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ ছিল এবং ইতালিয়ান কুলিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফরেনার্স-এ তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এখানে ইতালীয় রান্নার দর্শন সম্পর্কে তিনি জ্ঞান লাভ করেন।

নিজের কর্মজীবনে, অ্যান বুরেল “ফেলিদিয়া” (Felidia) এবং “সাভয়” (Savoy)-এর মতো খ্যাতনামা রেস্টুরেন্টে কাজ করেছেন।

তিনি ২০০৮ সালে “সিক্রেটস অফ আ রেস্টুরেন্ট শেফ” (Secrets of a Restaurant Chef) নামে একটি টিভি শো-এর মাধ্যমে খ্যাতি লাভ করেন। এই শো-টি এমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিল।

রান্নার পাশাপাশি, অ্যান বুরেল দুটি জনপ্রিয় রান্নার বইও লিখেছেন, যার মধ্যে “কুক লাইক আ রক স্টার” (Cook Like a Rock Star) নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলার ছিল।

পেশাগত জীবনের বাইরে, অ্যান সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তিনি “গার্ডেন অফ ড্রিমস ফাউন্ডেশন”-এর উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য ছিলেন এবং “জুভেনাইল ডায়াবেটিস রিসার্চ ফাউন্ডেশন”-এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেছেন।

এছাড়া, “সিটি হার্ভেস্ট’স ফুড কাউন্সিল”-এর একজন নিবেদিত সদস্য হিসেবেও তিনি খাদ্য সুরক্ষায় অবদান রেখেছেন।

২০২১ সালে অ্যান বুরেল স্টুয়ার্ট ক্ল্যাক্সটনকে বিয়ে করেন। তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয় একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে। অ্যান প্রায়ই বলতেন, “আমি বিবাহিত জীবনকে ভালোবাসি।”

অ্যান বুরেলের প্রয়াণে খাদ্য জগৎ একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো। তাঁর কাজ এবং রান্নার প্রতি ভালোবাসা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *