নতুন সুপারম্যান: ডেভিড কোরেন্সওয়েট, সাধারণ জীবন থেকে সুপারহিরোর পথে
সুপারম্যান—সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিত এক নাম, ন্যায়বিচারের প্রতীক। আর এবার এই চরিত্রে আসছেন নতুন মুখ, ডেভিড কোরেন্সওয়েট।
৩১ বছর বয়সী এই অভিনেতা শুধু পর্দায় নয়, বাস্তবেও একজন সাধারণ, সাদাসিধে মানুষ। সম্প্রতি, নিউইয়র্ক সিটির এক হোটেল কক্ষে বসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর ব্যক্তিজীবন এবং সুপারম্যান হয়ে ওঠার গল্প।
ডেভিড কোরেন্সওয়েট-এর জন্ম ফিলাডেলফিয়ায়। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি ছিল তাঁর আগ্রহ।
২০১৬ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন সুপারম্যান হওয়ার স্বপ্ন তাঁর কাছে “আকাশকুসুম” কল্পনার মতো ছিল। তবে কঠোর পরিশ্রম আর প্রতিভার জোরে অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।
পরিচালক জেমস গান-এর মতে, কোরেন্সওয়েট-এর মধ্যে রয়েছে “সুপারম্যানের প্রয়োজনীয় সব আকর্ষণ ও পেশী”।
ব্যক্তিজীবনে ডেভিড বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী জুলিয়ার সাথে পরিচয় হয় কিশোর বয়সে, একই গ্রীষ্মকালীন থিয়েটার প্রোগ্রামে।
দীর্ঘ প্রেমের পর ২০২৩ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে, যাঁর জন্ম হয় সুপারম্যান সিনেমার শুটিং শুরুর কাছাকাছি সময়ে।
ডেভিড বলেন, একসাথে দুটি বড় পরিবর্তনের সাক্ষী হওয়াটা ছিল “দুর্দান্ত”।
অভিনয়ের বাইরে ডেভিডের শখগুলোর মধ্যে রয়েছে উড়োজাহাজ চালানো এবং বাড়ির ছোটখাটো মেরামত করা।
তাঁর ভাষায়, “আমি এইসব জিনিস শিখতে ভালোবাসি, ইলেক্ট্রনিক্স, প্লাম্বিং, এমনকি দেয়ালের কাজও করি”। তাছাড়া, তাঁর একটি পোষা কুকুরও রয়েছে, যার নাম আইরা।
সুপারম্যানের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার আগে, ডেভিড রায়ান মারফির “দ্য পলিটিশিয়ান” সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
ডেভিডের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর অধ্যবসায় এবং অভিনয়ের প্রতি গভীর ভালোবাসা।
তিনি এই চরিত্রটিকে কতটা ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন, সেদিকেই এখন সবার নজর।
আগামী ১১ই জুলাই মুক্তি পেতে যাচ্ছে সুপারম্যান সিনেমাটি, যেখানে ডেভিড কোরেন্সওয়েটকে দেখা যাবে সুপারম্যানের ভূমিকায়।
তথ্য সূত্র: পিপল