ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একটি বহুতল ভবনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে হওয়া এই হামলায় কিয়েভের একটি আবাসিক ভবন পুরোপুরি ধসে পড়ে।
বুধবার উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও মরদেহ উদ্ধার করেন। খবরটি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
কিয়েভের সোলোমিয়ানস্কি জেলায় অবস্থিত নয় তলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনটিতে সরাসরি আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্রটি। এতে ভবনের ভেতরে থাকা ২৩ জন এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকা আরও ৫ জন নিহত হন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরে কিয়েভে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
ধ্বংসস্তূপ থেকে হতাহতদের উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকর্মীরা দিনভর কাজ করেছেন। ক্রেন, খননযন্ত্র ও হাত দিয়ে তারা ধ্বংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা চালান।
আহতদের উদ্ধারের পাশাপাশি জীবিতদের খোঁজে ডগ স্কোয়াডও মোতায়েন করা হয়েছিল। হামলার ফলে আশেপাশের ভবনগুলোর জানালা ও দরজাও ভেঙে যায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সোমবার রাতের এই হামলা ছিল রাশিয়ার নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের একটি বড় ধরনের সম্মিলিত আঘাতের অংশ। ওই হামলায় রাশিয়া ৪৪০টির বেশি ড্রোন ও ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে।
মার্কিন দূতাবাস এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, “এই নির্বোধ হামলা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যুদ্ধ বন্ধ এবং হতাহতের সংখ্যা কমানোর আহ্বানের পরিপন্থী।” কিয়েভ কর্তৃপক্ষ বুধবার শোক দিবস ঘোষণা করেছে।
ধ্বংসস্তূপের পাশে একটি খেলার মাঠে নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
স্থানীয় একটি স্কুলের কর্মচারী ভ্যালেন্টিন হ্রিনকভ (৬৪) জানান, তিনি যে ভবনে থাকতেন, তার সপ্তম তলার অ্যাপার্টমেন্টে বিস্ফোরণের শব্দ হয়।
তার স্ত্রী আহত হয়েছেন এবং তার পায়ে কাঁচের টুকরা বিঁধে যায়। তারা প্রায় ৩০ মিনিটের মতো অ্যাপার্টমেন্টে আটকা ছিলেন।
হ্রিনকভ হামলার সময় “আতঙ্ক ও অসহায়ত্ব” অনুভব করেছিলেন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস