প্রিন্সেস অফ ওয়েলস, ক্যাথরিন (ক্যাথরিন), আসন্ন রয়্যাল অ্যাসকট (Royal Ascot)-এ যোগ দিচ্ছেন না। বুধবার, ১৮ই জুন তারিখে বার্ষিক ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রিন্স উইলিয়ামের (উইলিয়াম) সাথে তার উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
কিন্তু ক্যান্সারের চিকিৎসার পর জনসাধারণের মাঝে ফিরে আসার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তিনি এই মুহূর্তে তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির ওপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।
জানা গেছে, কেট এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারায় হতাশ। তবে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানাচ্ছে, তিনি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন এবং শরীরের কথা শুনছেন।
এর আগে, তিনি রাজার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ‘ট্রুপিং দ্য কালার’ অনুষ্ঠানে এবং উইন্ডসর ক্যাসলে অনুষ্ঠিত ‘অর্ডার অফ দ্য গার্টার’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
রয়্যাল অ্যাসকট যুক্তরাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও ক্রীড়া ইভেন্ট। এখানে রাজপরিবারের সদস্যদের নিয়মিত উপস্থিতি দেখা যায়।
প্রিন্স উইলিয়াম বুধবার এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং ‘প্রিন্স অফ ওয়েলস’ স্টেকস’-এর বিজয়ীকে পুরস্কার তুলে দেবেন।
গত বছর, কেট যখন ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন, তখন প্রিন্স উইলিয়াম একাই এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং শ্বশুর-শাশুড়ি—ক্যারোল ও মাইকেল মিডলটনের (মিডলটন)-সঙ্গেও সময় কাটিয়েছিলেন।
২০২৪ সালের অধিকাংশ সময়টাতেই কেট জনসাধারণের থেকে দূরে ছিলেন, কারণ তিনি তার স্বাস্থ্যের ওপর মনোযোগ দিচ্ছিলেন। তবে সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি এখন ভালো আছেন এবং ধীরে ধীরে রাজকীয় দায়িত্ব পালনে ফিরছেন।
রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের মতে, কেট জনসাধারণের জীবনে ধীরে ধীরে ফিরছেন এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনা করছেন।
কুইন এলিজাবেথের (কুইন এলিজাবেথ) প্রাক্তন মুখপাত্র এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “তিনি তার শরীরের কথা শুনছেন এবং ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন।”
অন্যদিকে, রাজপরিবারের অন্দরেও কিছু পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। রাজার স্বাস্থ্য বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে এবং কর্মকর্তাদের মতে, পরিস্থিতি এখন ‘নিয়ন্ত্রণে’। এর ফলে, প্রিন্স ও প্রিন্সেস অফ ওয়েলস ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল