নিউ ইয়র্কের কেন্দ্রবিন্দু: টাইম স্কয়ারের অজানা গল্প
নিউ ইয়র্ক সিটি, স্বপ্নের শহর। এই শহরের কেন্দ্রবিন্দু হলো টাইম স্কয়ার, যা সারা বিশ্ব থেকে আসা পর্যটকদের কাছে এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।
উজ্জ্বল আলো, বিশাল বিলবোর্ড, আর সবসময় মানুষের কোলাহল – এই জায়গাটিকে অনেকে ‘পর্যটকদের ফাঁদ’ হিসেবেও চিহ্নিত করে থাকেন। তবে, যারা এই শহরের গভীরে প্রবেশ করতে চান, তাদের জন্য টাইম স্কয়ার অনেক কিছুই লুকিয়ে রেখেছে।
টাইম স্কয়ারের আসল আকর্ষণ হলো এর প্রাণবন্ত পরিবেশ। বছর জুড়েই এখানে বিভিন্ন উৎসব লেগেই থাকে, যা শহরটিকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
প্রতি বছর নববর্ষের রাতে এখানে বিশাল জনসমাগম হয়, যখন সকলে একসাথে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। ১৯০৭ সাল থেকে চলে আসা এই ঐতিহ্য আজও একইভাবে পালিত হয়।
তবে, টাইম স্কয়ার মানেই যে শুধু খরচ, তা কিন্তু নয়। এখানে রয়েছে নানা ধরনের খাবারের দোকান, যেখানে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির স্বাদ উপভোগ করা যায়।
জাপানি ‘ইচিরান’ -এর মতো রেস্টুরেন্টগুলোতে স্বল্প খরচে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়। এছাড়া, ইতালীয় খাবারের জন্য ‘টনি’স ডিনাপোলি’ এবং বিভিন্ন এশিয়ান খাবারের দোকানও এখানে বিদ্যমান। কলকাতার মত আমাদের দেশেও যেমন বিভিন্ন খাবারের দোকান জনপ্রিয়, এখানেও রয়েছে বিভিন্ন স্বাদের সম্ভার।
টাইম স্কয়ারের অন্যতম আকর্ষণ হলো ব্রডওয়ে থিয়েটার। এখানে সারা বিশ্ব থেকে আসা মানুষজন তাদের পছন্দের নাটক ও সঙ্গীত উপভোগ করতে আসে।
জর্জ ক্লুনি, ডেনজেল ওয়াশিংটন, এবং জেইক জিলেনহালের মতো খ্যাতনামা তারকারা এখানে নিয়মিত অভিনয় করেন। টিকিট-এর দাম বেশি হলেও, বিভিন্ন অফার ও ডিসকাউন্ট-এর মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে টিকিট পাওয়া যায়।
শুধু তাই নয়, যারা একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা চান, তাদের জন্য এখানে রয়েছে ব্রডওয়ে ডান্স সেন্টার-এর মত জায়গা, যেখানে নাচের ক্লাস করা যায়। এছাড়া, মিউজিয়াম অফ ব্রডওয়ে-তে থিয়েটারের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়।
টাইম স্কয়ার সবসময় ব্যস্ত থাকলেও, কিছু শান্ত জায়গা এখানে খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন, কফি শপগুলোতে বসে বই পড়া বা বন্ধুদের সাথে গল্প করা যেতে পারে।
সবশেষে, টাইম স্কয়ার-এর আসল আকর্ষণ হলো এর সংস্কৃতি। এখানে আসা পর্যটকদের ভিড় হয়তো সবসময় থাকে, কিন্তু এর মাঝেও আপনি নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারবেন।
ফ্রাঙ্ক সিনাত্রার বিখ্যাত গানের মতোই, “যদি এখানে কিছু করতে পারেন, তবে আপনি যে কোনও স্থানেই পারবেন”।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার
