আরিয়ানা গ্র্যান্ডের নানী: জীবনের অজানা গল্প!

আরিয়ানা গ্রান্ডের প্রিয় নানী, মার্জোরি গ্রান্ডের জীবনাবসান: নাতির চোখে নানী।

বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্ডের নানী মার্জোরি গ্রান্ডে আর নেই। ৯৯ বছর বয়সে গত ১৭ জুন তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মার্জোরি তার বাড়িতেই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ দিনগুলো অতিবাহিত করেছেন এবং পরিবারের সবার সঙ্গেই ছিলেন।

আরিয়ানার মা জোয়ান গ্রান্ডে সামাজিক মাধ্যমে এই খবর জানানোর পর শোকের ছায়া নেমে আসে।

মার্জোরির প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে আরিয়ানা তার নানীর সঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলোর ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। তিনি নানীর প্রতি ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে লেখেন, ‘চিরকাল’।

শুধু তাই নয়, মার্জোরি ছিলেন আরিয়ানার জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

মার্চ মাসের শুরুতে মুক্তি পাওয়া আরিয়ানার নতুন অ্যালবাম ‘ইটারনাল সানশাইন’-এও নানীর কণ্ঠ শোনা গেছে। অ্যালবামটির শেষ গান ‘অর্ডিনারি থিংস’-এ নানীর উপস্থিতি ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

গানটি মুক্তির পর বিলবোর্ড হট হান্ড্রেড-এ জায়গা করে নেন মার্জোরি, যা তাকে এই তালিকায় স্থান পাওয়া সবচেয়ে বয়স্ক শিল্পী হিসেবে পরিচিত করেছে।

মার্জোরির জীবন ছিল ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। ১১ বছর বয়সে ফ্রাঙ্ক গ্রান্ডের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। তাদের প্রেম ও দাম্পত্য জীবনের গল্প আজও অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা।

একবার একটি সাক্ষাৎকারে মার্জোরি তার এবং ফ্রাঙ্কের প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি জানান, ফ্রাঙ্ক তখন অসুস্থ ছিলেন এবং হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতেন।

মার্জোরি ও ফ্রাঙ্কের দুই মেয়ে ছিল – জুডি ও জোয়ান। জুডি এবং জোয়ানের তিন সন্তান, ফ্রাঙ্কি, আরিয়ানা এবং লানি। ২০১৮ সালে এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে আরিয়ানা তার নানী, মা এবং লানিকে নিয়ে মঞ্চে পারফর্ম করেন।

নানী মার্জোরি সবসময় আরিয়ানার প্রতি বিশ্বাস ও সমর্থন জুগিয়েছেন। আরিয়ানার ছোটবেলার প্রতিভা সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন এবং তাকে স্থানীয় একটি নাটকের অডিশনে অংশ নিতে উৎসাহিত করেছিলেন।

আরিয়ানা নিজেও তার নানীর প্রতি ভালোবাসার কথা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ করেছেন।

শুধু তাই নয়, আরিয়ানা তার নানীর সঙ্গে মিলে শরীরে ট্যাটুও করিয়েছেন। একবার ৯৩ বছর বয়সে আরিয়ানার হাত ধরে মার্জোরি তার প্রথম ট্যাটু করান।

আরিয়ানা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এই বিশেষ মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেছিলেন। মার্জোরি ট্যাটুর মাধ্যমে প্রয়াত স্বামীর প্রতি ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ করেছিলেন।

নানা-নানির প্রতি আরিয়ানার এই ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ অনেকের কাছে অনুকরণীয়। মার্জোরির প্রয়াণে সঙ্গীত জগতে শোকের ছায়া নেমে এলেও, তিনি তার নাতনির হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *