আকাশপথে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে বোয়িং ৭87 ড্রিমলাইনার বিমান নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানের দুর্ঘটনার পর এই উদ্বেগের কারণ আরও জোরালো হয়েছে।
গত ১২ই জুন, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা একটি বোয়িং ৭87 ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় পতিত হয়, যাতে অন্তত ২৭০ জন নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) কাজ করছে। তবে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ড্রিমলাইনার বিমানগুলির উড্ডয়ন বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।
বিমান সংস্থাগুলি বর্তমানে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে।
এই ঘটনার কয়েক দিন পরেই হংকং থেকে নতুন দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার আরেকটি ফ্লাইটে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। এই বিমানটিও ছিল বোয়িং ৭87 ড্রিমলাইনার।
এমন পরিস্থিতিতে, বোয়িং কর্তৃপক্ষের তৈরি বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ১,১৪৮টি বোয়িং ৭87 বিমান চলাচল করছে বলে জানা যায়।
ইতিমধ্যেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন সচিব শন ডাফি বলেছেন, দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না।
কারণ ঘটনার কারণ নির্ধারণের জন্য বিশেষজ্ঞদের বিস্তারিত বিশ্লেষণের প্রয়োজন।
বোয়িং কর্তৃপক্ষের বিমান এর আগেও বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ইন্দোনেশিয়া ও ইথিওপিয়ায় ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
তাছাড়া, ২০২৪ সালেও বোয়িং বিমানের বিভিন্ন অংশে ত্রুটি দেখা গেছে।
এয়ার ইন্ডিয়া এরই মধ্যে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ৫টি ড্রিমলাইনার বিমানের ফ্লাইট বাতিল করেছে। বিমান সংস্থাটি তাদের কর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
যাত্রীদের জন্য, বিমান সংস্থাগুলি তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করে থাকে। এফএএ-এর ওয়েবসাইটে এই বিমানগুলির নিরাপত্তা সংক্রান্ত আপ-ডেট তথ্য পাওয়া যাবে।
বিমানযাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময়ই অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার