বিখ্যাত খাদ্য বিষয়ক টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও রন্ধনশিল্পী অ্যান বারেল-এর প্রয়াণ, শোকস্তব্ধ খাদ্য জগৎ। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৫ বছর।
খাদ্য বিষয়ক চ্যানেল ফুড নেটওয়ার্ক-এর পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর সহকর্মী ও বন্ধু, আরেক জনপ্রিয় শেফ অ্যালেক্স গুয়ারনাসচেলি।
অ্যালেক্স গুয়ারনাসচেলি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যান বারেল-এর সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি লেখেন, “অ্যান বারেল-এর মতো এত প্রাণবন্ত মানুষ খুব কমই দেখেছি।
তিনি সবসময় জীবনকে ভালোবাসতেন, বিয়ে এবং পরিবারের প্রতি তাঁর ছিল গভীর অনুরাগ।” গুয়ারনাসচেলি আরও জানান, তাঁরা দু’জনে ফুড নেটওয়ার্কের ‘আইরন শেফ আমেরিকা’ অনুষ্ঠানে একসঙ্গে কাজ করেছেন এবং তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ছিল।
অ্যান বারেল শুধু একজন দক্ষ শেফ ছিলেন না, তিনি ছিলেন অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণা। গুয়ারনাসচেলি তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, “তিনি নিজেকে ‘গার্ল শেফ’ বলতেন এবং অনেক নারীকে এই পেশায় আসতে উৎসাহিত করেছেন।”
রান্নার জগতে তাঁর দক্ষতার কথা উল্লেখ করে গুয়ারনাসচেলি আরও বলেন, “আমি দেখেছি, ‘আইরন শেফ আমেরিকা’-য় তিনি কীভাবে দক্ষতার সঙ্গে ক্যানোলি শেল তৈরি করতেন। তাঁর রান্নার কৌশল ছিল ঈর্ষণীয়।”
অ্যান বারেল-এর রান্নার প্রতি ভালোবাসা এবং তাঁর রন্ধনশৈলীর কথা স্মরণ করে গুয়ারনাসচেলি জানান, তিনি তাঁর বন্ধুদের এবং বিড়ালদের খুব ভালোবাসতেন।
তাঁর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে গুয়ারনাসচেলি আরও বলেন, অ্যান সবসময় চাইতেন তাঁর রান্না করা খাবারগুলো সুস্বাদু হোক। তাঁর এই উচ্চমান, রান্নার প্রতি ভালোবাসা এবং রেসিপির ভাণ্ডার সবসময় মানুষের মনে গেঁথে থাকবে।
অ্যান বারেল ২০২১ সালে স্টুয়ার্ট ক্ল্যাক্সটনকে বিয়ে করেন। তাঁর পরিবারে রয়েছেন স্বামী স্টুয়ার্ট, সৎ ছেলে হাভিয়ার, মা মারলিন, বোন জেন ও ভাই বেন।
এছাড়াও, তাঁর সন্তান- ইসাবেলা, অ্যামেলিয়া ও নিকোলাস-কে তিনি রেখে গেছেন।
খাদ্য জগতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর অনুরাগী এবং সহকর্মীরা তাঁকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল