শেফ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর: জীবনের মোড় ঘোরানো সেই মুহূর্ত!

বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব অ্যান বুরেল, যিনি বিশ্বজুড়ে খাদ্যপ্রেমীদের কাছে সুপরিচিত ছিলেন, ৫৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। মঙ্গলবার, ১৭ জুন তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।

বুরেলের রান্নার প্রতি ভালোবাসার গল্প অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

খাবার পরিবেশনকারীর কাজ থেকে কীভাবে তিনি রন্ধনশিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন, সেই গল্পটি অনেকের কাছে আজও স্মরণীয়। ক্যানিসিয়াস কলেজে পড়ার সময়, তিনি একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন।

সেখানে কাজ করতে করতেই তিনি বুঝতে পারেন, এটাই তার আসল ঠিকানা। বুরেল একবার বলেছিলেন, “আমি অনুভব করলাম, যেন এই জগৎটা আমারই, যেখানে আমি সবসময় থাকতে চেয়েছি।”

তবে, শুরুতে পরিবারের প্রত্যাশা ছিল ভিন্ন। অভিভাবকদের ইচ্ছায় তিনি কিছুদিন একটি কর্পোরেট চাকরিও করেন, যা তার ভালো লাগেনি।

বুরেল পরে বলেছিলেন, সেই সময়টা তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল। এর পরেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, রন্ধনশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করবেন। এরপর তিনি নাম লেখান বিখ্যাত ‘কুলিনারি ইনস্টিটিউট অফ আমেরিকা’-তে।

অ্যান বুরেল তার কাজের মাধ্যমে সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেন। ‘ফুড নেটওয়ার্ক’-এর মতো জনপ্রিয় চ্যানেলে তার উপস্থিতি তাকে আরও খ্যাতি এনে দেয়।

তার রান্নার অনুষ্ঠানগুলো শুধু আমেরিকাতেই নয়, বরং বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।

বুরেল ২০১৬ সালে স্টুয়ার্ট ক্ল্যাক্সটনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার পরিবারে রয়েছেন স্বামী, সন্তান, মা এবং ভাইবোন।

তার প্রয়াণে পরিবারের সদস্যরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “অ্যানের হাসি প্রতিটি ঘরকে আলোকিত করত। তিনি আমাদের মাঝে না থাকলেও, তার উষ্ণতা, spirit এবং সীমাহীন ভালোবাসা চিরকাল আমাদের সঙ্গে থাকবে।”

অ্যান বুরেলের প্রয়াণে খাদ্য জগৎ একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো। তার রান্নার প্রতি ভালোবাসা ও কাজের প্রতি উৎসর্গীকৃত মনোভাব তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *