শিরোনাম: এএলএস-এর সঙ্গে লড়াই, ক্যামেরার সামনে অবিচল এরিক ডেন
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা এরিক ডেন, যিনি ‘গ্রে’স অ্যানাটমি’ এবং ‘ইউফোরিয়া’র মতো জনপ্রিয় টিভি সিরিজে অভিনয়ের জন্য পরিচিত, সম্প্রতি এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন যে তিনি এএলএস (Amyotrophic Lateral Sclerosis), বা অ্যামিওট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস নামক এক বিরল স্নায়ু রোগ-এ আক্রান্ত।
এই রোগ মানুষের শরীরের মাংসপেশি দুর্বল করে দেয়, যার ফলে ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও, ৫২ বছর বয়সী এরিক ডেন তাঁর কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
সম্প্রতি তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসে ‘কাউন্টডাউন’ নামক একটি নতুন সিরিজের প্রথম সিজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে তিনি সম্পূর্ণ সাদা পোশাকে ক্যামেরার সামনে আসেন, যা তাঁর অদম্য মানসিকতারই প্রমাণ।
এই সিরিজে তিনি নাথান ব্লাইদ-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এপ্রিল মাসে, ‘পিপল’ ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরিক ডেন তাঁর এই রোগের কথা প্রথমবার প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, পরিবারকে পাশে পেয়ে তিনি এই কঠিন সময়ের সঙ্গে লড়াই করার জন্য কৃতজ্ঞ।
এরিক ডেন-এর স্ত্রী রেবেকা গেইহার্ট এবং তাঁদের দুই সন্তান, ১৫ বছর বয়সী বিলি বিয়াট্রিস ও ১৩ বছর বয়সী জর্জিয়া জেরাল্ডিন।
এএলএস-এর কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারিতা কমে গেলেও, এরিক ডেন জানিয়েছেন, তিনি কাজ চালিয়ে যেতে চান।
তাঁর মতে, কাজ তাঁকে সচল রাখে এবং মানসিক দিক থেকেও শক্তিশালী করে।
তিনি আরও বলেন, “আমি এই পথেই থাকব, যতক্ষণ না পারি।”
চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, এএলএস একটি মারাত্মক রোগ।
সাধারণত রোগ নির্ণয়ের পর আক্রান্ত ব্যক্তিরা তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত বাঁচেন।
তবে, কারো কারো ক্ষেত্রে এটি কয়েক দশক পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
এই রোগের এখনো পর্যন্ত কোনো নিরাময় নেই।
এরিক ডেন-এর এই লড়াই আমাদের সকলের কাছে এক দৃষ্টান্ত।
তাঁর সাহস এবং কাজের প্রতি ভালোবাসাই প্রমাণ করে, প্রতিকূলতা সত্ত্বেও মানুষ কিভাবে জীবনকে জয় করতে পারে।
তাঁর এই যাত্রা যেন আরও অনেক মানুষকে সাহস জোগায়।
তথ্য সূত্র: পিপল