ভাইয়ের তৈরি প্রোস্থেটিক হাত, এককথায় বোনের প্রতিক্রিয়া!

ভাইয়ের তৈরি করা হাতের সাহায্যে নতুন জীবন, জন্মগত ত্রুটি জয় করা সাত বছরের বালিকার গল্প

ছোট্ট বেলা বন্ডারচুক, সাত বছর বয়সী এক বালিকা। জন্ম থেকেই তার বাঁ হাত কনুইয়ের সামান্য উপর থেকে নেই।

কিন্তু জীবন থেমে থাকেনি তার। খেলাধুলা, ছবি আঁকা—সবকিছুই সে করতে ভালোবাসে।

আর এই ভালোবাসাকে আরও একটু সহজ করে দিয়েছে তার বড় ভাই, ভাইটালি বন্ডারচুকের তৈরি করা একটি বিশেষ হাতের কাঠামো (prosthetic arm)।

ইউনিভার্সিটির ফাইনাল সেমিস্টারের প্রজেক্ট হিসেবে ভাইটালি তৈরি করেন এই মাল্টিটুল প্রোস্থেটিক আর্ম।

এটা শুধু একটি প্রজেক্ট ছিলো না, ছিলো ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ।

বিষয়টা নিয়ে আমি খুব বেশি হইচই করতে চাইনি।

ভাইটালি

আমি চেয়েছিলাম, আমার বোনকে সাহায্য করতে।

ভাইটালি

এই বিশেষ হাতের কাঠামোটিতে রয়েছে নানান সুবিধা।

হাতের সাথে সহজে এটি লাগানো যায় এবং এর সঙ্গে যুক্ত করা যায় বিভিন্ন জিনিস।

যেমন, ছবি আঁকার জন্য ব্রাশ, রাতে আলো দেখার জন্য টর্চ অথবা জনপ্রিয় কার্ড গেম ‘ইউনো’ খেলার জন্য কার্ড হোল্ডার।

বোনের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভাইটালি এই হাত তৈরি করেছেন।

ছোটবেলা ‘ইউনো’ খেলার প্রতি বেলার ভালোবাসা দেখে ভাইটালি চেয়েছিলেন, খেলাটা যেন তার জন্য আরও সহজ হয়।

বেলার এই নতুন হাত তার জীবনকে আরও সহজ করে দিয়েছে।

প্রতিদিনের কাজে এখন সে এই হাত ব্যবহার করে।

দারুণ!

বেলা

ভাইটালির বাড়ি সাউথ ক্যারোলাইনার স্পার্টানবার্গে।

বব জোনস ইউনিভার্সিটি থেকে সম্প্রতি গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন তিনি।

পেশাগত জীবনে পা রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এরই মধ্যে বোনকে নিয়ে তার এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

ভাইটালি জানান, বোনের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, তার নতুন নতুন শখের কথা মাথায় রেখে, এই হাতের কাঠামোতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে।

পরিবারে ১৩ ভাইবোনের মধ্যে বেলা দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ।

পরিবারে এখনো যৌথ পরিবার ও বড় পরিবারের ধারণা বেশ প্রচলিত।

বেলার এই বিশেষত্ব তাদের পরিবারের অন্যদের কাছেও আনন্দের কারণ।

বোনকে সাহায্য করতে পেরে এবং তাদের (পরিবারের) খুশি দেখতে পাওয়াটা অনেক আনন্দের।

ভাইটালি

বর্তমানে বাংলাদেশেও বিভিন্ন ধরনের সহায়ক উপকরণ সহজলভ্য হচ্ছে, যা বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জীবনকে আরও উন্নত করতে সহায়তা করে।

তথ্য সূত্র: সংবাদ প্রতিবেদন অবলম্বনে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *