মাস্কের ‘এক্স’-এর বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের নয়া পদক্ষেপ: বিতর্কের ঝড়!

এলোন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে।

এই মামলার মূল বিষয় হলো, সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে কিভাবে আপত্তিকর পোস্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নিউ ইয়র্কের নতুন আইনের বিরোধিতা করা। মঙ্গলবার (অনুমান) এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

নিউ ইয়র্কের আইন অনুযায়ী, সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে বছরে দু’বার জানাতে হবে, তারা ঘৃণা ভাষণ, বর্ণবাদী মন্তব্য, চরমপন্থী মন্তব্য, ভুল তথ্য এবং অন্যান্য আপত্তিকর বিষয়গুলো কিভাবে চিহ্নিত করে এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়।

এর পাশাপাশি, কতো সংখ্যক পোস্ট চিহ্নিত করা হয়েছে, সেইগুলোর বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং কতজন ব্যবহারকারী সেই আপত্তিকর কন্টেন্টগুলো দেখেছে বা শেয়ার করেছে, তার বিস্তারিত তথ্যও জানাতে হবে।

তবে ‘এক্স’ কর্তৃপক্ষের দাবি, এই আইন তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। তাদের মতে, এই ধরনের নিয়ম তৈরি করে নিউ ইয়র্ক কর্তৃপক্ষ কার্যত তাদের বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণের স্বাধীনতাকে খর্ব করতে চাইছে।

তাছাড়া, এই আইন ১৯৯৬ সালের একটি ফেডারেল আইনেরও পরিপন্থী, যেখানে ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মগুলোকে তাদের ইচ্ছামতো পোস্ট নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা মামলার অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন এবং তাদের আইনের সাংবিধানিকতাকে রক্ষা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।

নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল এই আইনটি অনুমোদন করেছেন।

এই আইনটি মূলত সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ করার উদ্দেশ্যে প্রণীত হয়েছে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা জানতে পারবে, প্ল্যাটফর্মগুলো কিভাবে তাদের নীতিগুলো প্রয়োগ করে।

তবে, ‘এক্স’-এর ক্ষেত্রে, বিশেষ করে এলন মাস্কের নীতিমালার কারণে এই প্ল্যাটফর্মটি বেশ সমালোচিত হয়েছে। কারণ, মাস্ক ক্ষমতা গ্রহণের পর ঘৃণা ভাষণ এবং হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম শিথিল করেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার একটি অনুরূপ আইনের বিরুদ্ধেও ‘এক্স’ মামলা করেছিল। সেই মামলায় আদালত কিছু অংশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল এবং পরে রাজ্য সরকার আপস করতে বাধ্য হয়েছিল।

নিউ ইয়র্কের এই নতুন আইনের ফলে তথ্য প্রযুক্তি এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা কতটুকু নিশ্চিত হবে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *