ট্রেন দুর্ঘটনায় কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু: এলাকায় শোকের ছায়া!

কানসাসে রেললাইনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, এক বালক নিহত, অপরজন নিখোঁজ।

যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যে এক ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় এক বালকের মৃত্যু হয়েছে এবং অপরজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

বুধবার (১৮ই জুন) এর ঘটনাটি ঘটে যখন দুটি বালক একটি রেলসেতু পার হচ্ছিলো, সে সময় একটি ট্রেনের ধাক্কায় তারা গুরুতর আহত হয়।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে এরি শহরের কাছাকাছি, ইউনিয়ন প্যাসিফিক রেলওয়ের একটি রেলসেতুর উপর।

নিহত বালকের নাম এখনো জানা যায়নি, তবে কর্তৃপক্ষের ধারণা, তারা সম্ভবত দ্রুতগামী ট্রেনের সামনে পড়তে গিয়েছিলো এবং সম্ভবত তারা ট্রেনটির গতি কমাতে পারেনি।

দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

স্থানীয় শেরিফ অফিসের কর্মীরা, জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা (ইএমএস), সেইন্ট পল এবং এরি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের সদস্য এবং ইউনিয়ন প্যাসিফিক রেলওয়ের কর্মীরা দ্রুত সেখানে উপস্থিত হন।

খবর পাওয়ার পরেই কানসাস ডিপার্টমেন্ট অফ ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড পার্কস (কেডিডব্লিউপি) কর্মী, ড্রোন ও বোট নিয়ে এবং কানসাস হাইওয়ে পেট্রোল (কেএইচপি) বহু সংখ্যক কর্মী, হেলিকপ্টার ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরসহ উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।

উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক বালকের মৃতদেহ খুঁজে পায়।

এরপর কর্তৃপক্ষের ধারণা অনুযায়ী, দ্বিতীয় বালকটিও সম্ভবত ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছে এবং নদীতে পড়ে গেছে।

শেরিফ গ্রেগ টেইলরের বিবৃতি অনুযায়ী, “ইঞ্জিনের ক্যামেরা ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দুই শিশুই সম্ভবত রেলসেতুর উপর ছিল এবং ট্রেনের গতি এড়াতে পারেনি।”

বর্তমানে নিওশো নদীর পানি বাড়ছে এবং নদীর স্রোত তীব্র হওয়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।

নদীতে প্রচুর পরিমাণে ধ্বংসাবশেষ থাকায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

উদ্ধারকর্মীরা বর্তমানে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে নিখোঁজ বালকের সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছেন।

শেরিফ জনসাধারণকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকার এবং উদ্ধারকর্মীদের কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

তিনি এই দুঃখজনক ঘটনায় শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

উদ্ধার অভিযান স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু করার কথা রয়েছে, তবে নদীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এতে বিলম্ব হতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *