ফর্মুলা ওয়ান (F1) রেসিং ফিল্মে অভিনেতা ব্র্যাড পিটের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এক মজার ঘটনার কথা জানালেন ড্যামসন ইদ্রিস। সম্প্রতি ‘দ্য লেট শো উইথ স্টিফেন কোলবার্ট’-এ (The Late Show with Stephen Colbert) হাজির হয়ে তিনি জানান, এই সিনেমার শুটিংয়ের সময় ব্র্যাড পিটের সঙ্গে তার একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছিল।
F1, বা ফর্মুলা ওয়ান হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির মোটর রেসিং প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই সিনেমায় ইদ্রিস একজন নবাগত চালক জোশুয়া পিয়ারেসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, আর ব্র্যাড পিট অভিনয় করেছেন সনি হেইস নামের একজন অভিজ্ঞ চালকের ভূমিকায়, যিনি ইদ্রিসের চরিত্রকে প্রশিক্ষণ দেন।
ইদ্রিস জানান, একটি দৃশ্যে ব্র্যাড পিটের দিকে চিৎকার করার সময় তার মুখ থেকে থুতু ছিটকে ব্র্যাড পিটের মুখে লেগে যায়। দৃশ্যটি ছিল বেশ আবেগপূর্ণ, এবং তিনি এতটাই উত্তেজিত ছিলেন যে এই ঘটনা ঘটে।
“আমি খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল, এবার হয়তো আমার চাকরিটাই চলে যাবে,” ইদ্রিস বলেন। তবে ব্র্যাড পিট পরিস্থিতি অত্যন্ত শান্তভাবে সামাল দেন এবং দৃশ্যটির কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়। ইদ্রিস আরও জানান, ব্র্যাড পিট ছিলেন খুবই সহযোগী একজন অভিনেতা।
পুরোনো একটি ঘটনার কথা স্মরণ করে ইদ্রিস জানান, একসময় তিনি ব্র্যাড পিটের সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। লন্ডনের একটি থিয়েটারে তিনি টিকিট পরীক্ষকের কাজ করতেন, যেখানে তিনি প্রায়ই তারকাদের আনাগোনা লক্ষ্য করতেন।
একবার তিনি জানতে পারেন ব্র্যাড পিট সেখানে ‘দ্য লায়ন কিং’ দেখতে এসেছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে দেখা হয়নি। পরে ব্র্যাড পিটকে এই ঘটনা জানালে তিনি হেসে জানান, তিনি নাকি কখনোই ‘দ্য লায়ন কিং’ দেখেননি।
সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ইদ্রিস জানান, তিনি প্রায় চার মাস ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এছাড়াও, তিনি এবং ব্র্যাড পিট দুজনেই রেসিং কার (car) চালিয়েছিলেন এবং ঘণ্টায় প্রায় ১৮০ মাইল (প্রায় ২৯০ কিলোমিটার) পর্যন্ত গতি তুলেছিলেন।
ইদ্রিস মজা করে বলেন, এই সিনেমায় অভিনয়ের সুবাদে তার মনে হয় তিনি রেসিংয়ের অভিজ্ঞতায় লুইস হ্যামিল্টনের চেয়েও এগিয়ে আছেন! আগামী ২৭শে জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে F1।
তথ্যসূত্র: পিপল