হুদার মেয়ের বাবা কে? বিস্ফোরক তথ্য!

শিরোনাম: ‘লাভ আইল্যান্ড ইউএসএ’-এর প্রতিযোগী হুদা মুস্তাফার প্রাক্তন সঙ্গী, সন্তানের বাবার মুখ, অনলাইনে সমালোচনার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন।

সম্প্রতি ‘লাভ আইল্যান্ড ইউএসএ’ নামক জনপ্রিয় ডেটিং রিয়েলিটি শো-তে অংশগ্রহণকারী হুদা মুস্তাফাকে নিয়ে অনলাইনে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে, তাঁর প্রাক্তন সঙ্গী এবং কন্যার পিতা, নোহ শেলাইন, হুদার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন।

তাঁদের একমাত্র কন্যা আর্লেইয়ের বাবা হিসেবে, নোহের এই পদক্ষেপ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। হুদা মুস্তাফা এবং নোহ শেলাইনের সম্পর্ক ছিল, যা ভেঙে গেলেও তাঁরা তাঁদের কন্যা আর্লেইয়ের অভিভাবক হিসাবে একসঙ্গে আছেন।

জানা যায়, ২০২০ সালে তাঁদের কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে নোহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একজন সদস্য। তিনি মিশিগান থেকে এসেছেন এবং এখন নর্থ ক্যারোলিনায় বসবাস করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নোহ শেলাইনের বিভিন্ন পোস্টে তাঁর কন্যার প্রতি ভালোবাসার গভীরতা ফুটে উঠেছে। তিনি প্রায়ই আর্লেইকে নিয়ে ছবি পোস্ট করেন এবং ‘ছোট্ট রাজকন্যা’ বলে সম্বোধন করেন।

একবার তিনি লিখেছিলেন, “বাবা হওয়াটা পৃথিবীর সেরা অনুভূতিগুলোর একটি।” ‘লাভ আইল্যান্ড ইউএসএ’ অনুষ্ঠানে হুদার অংশগ্রহণের পর, অনলাইনে কিছু নেতিবাচক মন্তব্য আসতে শুরু করে।

এই পরিস্থিতিতে নোহ শেলাইন তাঁর প্রাক্তন সঙ্গীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে মুখ খোলেন। তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “আসলে, আমি চাই সবাই মনে রাখুক, আমরা মানুষ।

হুদা হয়তো ভালোবাসার জন্য বা অন্য কোনো কারণে ওই শো-তে গেছে। তবে সেও একজন মানুষ, তার একটা মেয়ে আছে এবং তার একটা জীবন আছে।” নোহ আরও যোগ করেন, “আমি চাই না আমার মেয়ের মা’কে নিয়ে কেউ খারাপ কথা বলুক বা তাকে নিয়ে কটূক্তি করুক।

আমি মনে করি, আমাদের মেয়ের ভালোর জন্য হলেও, সবার মানবিক হওয়া উচিত।” তাঁর এই সহানুভূতিপূর্ণ মন্তব্য অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং নেটিজেনদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

শেলাইনের এই পদক্ষেপ বুঝিয়ে দেয়, সম্পর্কের বিচ্ছেদ হলেও, সন্তানের ভালো-মন্দের ক্ষেত্রে কিভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার হাত বাড়ানো যায়। বর্তমান ডিজিটাল যুগে, যেখানে অনলাইনে সমালোচনা একটি সাধারণ ঘটনা, সেখানে নোহ শেলাইনের এই ধরনের সমর্থন সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *