আর্জেন্টিনার ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি যেন ক্লাব বিশ্বকাপের থেকেও বড়! সম্প্রতি আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের একটি ম্যাচে এই দৃশ্য দেখা গেছে। মেসির দল ইন্টার মায়ামির খেলা দেখতে আটলান্টার মাঠে হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার দর্শক।
যেন মেসিকে এক নজর দেখার জন্য তাদের এই ছুটে আসা।
পর্তুগালের ক্লাব এফসি পোর্তোর বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মেসির দল ইন্টার মায়ামি জয়লাভ করে। খেলার ৫৪ মিনিটে মেসির করা অসাধারণ একটি ফ্রি-কিক গোল ছিল এই জয়ের অন্যতম কারণ।
মেসির এই গোলের মাধ্যমেই কনকাকাফ অঞ্চলের কোনো দল প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় দলকে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে হারাতে সক্ষম হয়। শুধু তাই নয়, ইন্টার মায়ামির হয়ে মেসির এটি ছিল ৫০তম গোল।
খেলা শুরুর আগে স্টেডিয়ামের বাইরে সমর্থকদের মধ্যে মেসিকে নিয়ে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। আটলান্টার স্থানীয় দর্শক ছাড়াও লুইজিয়ানা, আলাবামা, চার্লসটন, ওয়াশিংটন ডিসি, বাফেলো, এমনকি আয়ারল্যান্ড ও পুয়ের্তো রিকো থেকেও সমর্থকেরা এসেছিলেন প্রিয় খেলোয়াড়কে সমর্থন জানাতে।
দর্শকদের উন্মাদনা এতটাই ছিল যে, খেলা শুরুর ৩০ মিনিট আগে যখন মেসির নাম ঘোষণা করা হয়, তখন পুরো স্টেডিয়াম যেন উল্লাসে ফেটে পড়েছিল।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের এই আসরটি এখনো সেভাবে পরিচিতি লাভ করতে পারেনি। তবে মেসির উপস্থিতির কারণে এই টুর্নামেন্টের আকর্ষণ বেড়েছে বহুগুণ।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এর আগে বলেছিলেন, এই টুর্নামেন্ট এক মাসের মধ্যে ৬৩টি সুপার বোলের সমান আকর্ষণ তৈরি করবে।
খেলায় পোর্তোর হয়ে একটি পেনাল্টি থেকে গোল করেন সামু আগেহোভা। এর কিছুক্ষণ পরেই মেসির অসাধারণ ফ্রি-কিক থেকে করা গোলে খেলায় ফেরে ইন্টার মায়ামি।
ম্যাচের পর মেসির সতীর্থ ফাফা পিকাউল্ট মেসিকে একজন ‘নেতা, জয়ী এবং আবারও জয়ী’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
মেসি মাঠে নামার পরে দর্শকদের চিৎকার, উল্লাস এবং ‘মে-সসি’ ধ্বনিতে স্টেডিয়াম মুখরিত হয়ে ওঠে। খেলা চলাকালীন সময়ে দর্শকদের মধ্যে মেসিকে নিয়ে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
অন্যদিকে যেমন ছিল মেসির খেলা দেখার সুযোগ, তেমনই ছিল প্রিয় খেলোয়াড়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর প্রস্তুতি।
ইন্টার মায়ামির এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের পেছনে মূল কারণ ছিলেন ডেভিড বেকহ্যাম। ২০১৮ সালে এই ক্লাবটি আলোচনায় আসে তাঁর হাত ধরে।
ক্লাব বিশ্বকাপ ভবিষ্যতে আরও বড় হতে পারে, তবে আপাতত সবার মনে একটাই নাম – লিওনেল মেসি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন