বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ তাঁর মাস্টারপিস “জস” (Jaws) নির্মাণের সময় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। ছবিটির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের আসন্ন প্রামাণ্যচিত্র “জস @ 50: দ্য ডেফিনিটিভ ইনসাইড স্টোরি”-তে তিনি তাঁর সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন।
“জস” নির্মাণের সময়কার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৭৬ বছর বয়সী স্পিলবার্গ জানান, মারtha’s Vineyard-এ ছবিটির শুটিং শেষ হওয়ার পর তিনি ‘পুরোপুরি প্যানিক অ্যাটাক’-এর শিকার হয়েছিলেন। শ্বাস নিতে কষ্ট হতো, মনে হয়েছিল হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে।
বাথরুমে গিয়ে বার বার মুখে জল দিচ্ছিলেন, কিন্তু কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছিলেন না।
“তখন আমি যেন আমার ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিলাম,” তিনি বলেন। “আমি ছবিটির সঙ্গে এতটাই জড়িয়ে পড়েছিলাম যে, আমার মনে হয়েছিল আমি যেন সবার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছি।
সফলতা সত্ত্বেও, “জস”-এর নির্মাণ প্রক্রিয়া স্পিলবার্গের জন্য ছিল এক বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা। ১৯৭৬ সালে সেরা শব্দ, সেরা সম্পাদনা এবং সেরা মৌলিক সুরের জন্য অস্কার জেতা সত্ত্বেও, তিনি রাতের বেলা ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখতেন।
সেই কঠিন দিনগুলোর কথা স্মরণ করে স্পিলবার্গ বলেন, “তখন আমরা PTSD (পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার) শব্দটির সঙ্গে পরিচিত ছিলাম না। কিন্তু ‘জস’-এর শুটিং নিয়ে আমার দীর্ঘদিন ধরে দুঃস্বপ্ন হতো।
তবে, এত বছর পর, তিনি এখন সেই অভিজ্ঞতাকে অন্য চোখে দেখেন। “আমার কাছে ‘জস’ একটি জীবন পরিবর্তনকারী অভিজ্ঞতা ছিল,” তিনি বলেন। “একদিকে, এটি ছিল আমার জন্য একটি ট্রমা, যেখানে টিকে থাকার লড়াই ছিল প্রধান।
আমি মনে করি, আমরা সবাই যেন কিছু একটা থেকে রক্ষা পেয়েছি। আমি আশা করি, ‘জস’-এর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক শিল্পী ও কলাকুশলী এই অভিজ্ঞতাকে সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করবেন।
“জস” শুধু একটি সিনেমা ছিল না, এটি ছিল একটি সাংস্কৃতিক ঘটনা। “জস” এর সাফল্যের পেছনে ছিল সবার অক্লান্ত পরিশ্রম। স্পিলবার্গ মনে করেন, এই সাফল্যের অংশীদার হতে পেরে সবাই গর্বিত।
“জস @ 50: দ্য ডেফিনিটিভ ইনসাইড স্টোরি” ১০ জুলাই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক-এ প্রিমিয়ার হবে এবং এর পরের দিন ডিজনি+ ও হুলু-তে দেখা যাবে।
তথ্য সূত্র: পিপল